× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যাট-বল ছেড়ে লাঙল ধরেছেন ক্রিকেটাররা

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

ক্রিকেট খেলে যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চলে। করোনা ভাইরাস বন্ধ করে দিয়েছে মাঠের খেলা। তাতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ঘরোয়া লীগের ক্রিকেটাররা পড়েছেন বিপাকে। পেট চালাতে তাদের কেউ করছেন কৃষি কাজ, কেউবা হয়েছেন দোকানদারি। দু-চারটা পয়সার জন্য যে যা পারছেন তাই করছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এই চিত্র। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়েরও এখন ক্রান্তিকাল চলছে। রাজ্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর কী অবস্থা তা তো আঁচ করাই যাচ্ছে। করোনার কারণে লীগ বাতিল হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেটাররা পড়েছেন আর্থিক সংকটে।
তাদেরই একজন কলকাতার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরুণ পেসার মিনাজুর রহমান। চলতি বছর লীগে ১০ উইকেট নেয়া মিনাজুর ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি বাবার দোকানও দেখাশোনা করতেন। লকডাউনে ক্রিকেট, দোকান দুটোই বন্ধ। এসবের ভেতর ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এসে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে মিনাজুরের বাড়ি। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা।
মিনাজুর এখন হাল ধরেছেন লাঙলে। শুরু করেছেন চাষাবাদ। তাতে অন্তত দুমুঠো অন্ন জোগাড় হচ্ছে। মিনাজুর বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যেই আম্ফানের তাণ্ডবে বাড়ি ভেঙে যায়। মাথায় আসছিল না কীভাবে পরিবার সামলাবো। তাই এখন চাষাবাদ করেই যতটুকু পারছি উপার্জন করছি।’
দুর্গেশ দুবের সমস্যাটাও জটিল। বাবা চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন অনেক আগে। সংসারের জোয়ালটা এখন টানতে হচ্ছে দুর্গেশকেই। ক্লাব থেকে কিছু অর্থ পেয়েছিলেন। তবে বাইরের প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকায় সংসার চালানো কঠিনই হয়ে গেছে তার জন্য। এ বছর অনূর্ধ্ব-২৩ বাংলা দলের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার বলেন, ‘জমানো টাকা দিয়েই কোনোমতে চলছে। আয়ের পথ বন্ধ। তেমন পড়াশোনাও নেই আমার যে বিকল্প রাস্তা খুঁজবো।’
মিজান-দুর্গেশদের মতো আরো অনেক ক্রিকেটার আছেন, যাদের কথা হয়তো গণমাধ্যমে আসছে না। করোনা আর অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে ২২ গজের এসব তারকাদের। সেই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কতজন টিকে থাকেন বলা মুশকিল। করোনা মহামারি একদিন বিদায় নেবে পৃথিবী থেকে। কিন্তু ততদিনে অনেক ভবিষ্যত তারকা হয়তো কৃষক আর দোকানি হয়ে যাবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর