করোনা টেস্ট ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের বিষয়টি সম্প্রতি আলোচিত হচ্ছে। এতে অসহায় দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা থেকে দূরে থাকবে বলে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে আরো দ্রুতগতিতে। ওবায়দুল কাদের 
বলেন, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের ফি দেয়ার সামর্থ্য নেই, তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেয়ার অনুরোধ জানান। গতকাল সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুরহাট সংক্রমণের হার আরো বাড়িয়ে দেয়ার আশঙ্কা থাকায় এ বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে কার্যকর গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন- প্রয়োজনে পশুরহাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। যত্রতত্র পশুরহাটের অনুমতি দেয়া যাবে না, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে কোরবানির পশুরহাট স্বাস্থ্যঝুঁকির ভয়ানক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন- এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আগেই করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন মহাসড়ক ও এর আশেপাশে পশুরহাটের অনুমতি দেয়া যাবে না। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের ৯টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে, করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের রেশ না কাটতেই বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে বসতবাড়ি, কৃষকের ফসল, মানুষের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যাকবলিত জেলাসমূহে পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন আমাদের আস্থার প্রাচীর, মনোবলের আলোকশিখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করছেন। তিনি সকলকে ঐক্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে এ সকল দুর্যোগ উত্তরণে কাজ করারও আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশাসনের পাশাপাশি বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সময়ের সাহসী যোদ্ধা, মানবিক ও জনবান্ধব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ যে সক্ষমতা দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই ধারাবাহিকতায় এবারও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। করোনা মোকাবিলায় সরকার নতুন করে ঢাকা মহানগরী ও কিছু জেলার নির্দিষ্ট স্থানে লকডাউন কার্যকর করেছে, সেসব স্থানে ইতিবাচক ফল এসেছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ জানিয়েছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন ধৈর্য্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে এবং সরকারকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি এই আপাত বিচ্ছিন্নতা সকলের কল্যাণের জন্য। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ এখন ছড়িয়ে পড়েছে, এ রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে তা সীমাবদ্ধ সুযোগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হবে কষ্টসাধ্য, সমসাময়িক বিশ্ব প্রেক্ষাপটে তার প্রমাণ পেয়েছি। তিনি এ পরিস্থিতিতে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নেয়ার অনুরোধ করেন। সকলের প্রতি অনুরোধ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব বজায় চলি, সামান্যতম অবহেলা আর উদাসীনতা আমাদের প্রিয়জন থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। এই চিরচেনা জগৎটাকে করে দেবে অচেনা, স্বপ্নের রঙে সাজানো বর্ণিল পৃথিবী হয়ে যাবে বিবর্ণ।