× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ নিয়ে ইসরাইলি পত্রিকায় জনসনের সতর্কতা, ফ্রান্সের হুমকি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুলাই ২, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন

পশ্চিম তীরের দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অধিগ্রহণ নিয়ে ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স। বলেছে, পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ করলে ইসরাইলকে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে। এদিকে, ইসরাইলের এক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অন্যদিকে, অধিগ্রহণ শুরু নিয়ে নিজের ঘোষিত সময়সীমা পিছিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। প্রাথমিকভাবে এক ঘোষণায় বুধবার পশ্চীম তীর অধিগ্রহণ শুরুর কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে দেশটির এক মন্ত্রী ও নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অফির আকুনিস জানিয়েছেন, বুধবার অধিগ্রহণ শুরুর অবস্থান থেকে সরে গেছে ইসরাইল। অধিগ্রহণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। তবে তিনি জানান যে, চলতি মাসের শেষের দিকে অধিগ্রহণ শুরু হতে পারে।
এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

খবরে বলা হয়, ইসরাইলি পত্রিকা ইয়েডিয়থ আহরনথ পত্রিকায় প্রকাশিত এক লেখায় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন পশ্চীম তীর অধিগ্রহণ না করার আহ্বান জানিয়েছন। লেখাটিতে নিজেকে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সমর্থনকারী হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে জনসন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরাইলপন্থি হিসেবে পরিচিত। তিনি লিখেছেন, পশ্চীম তীর অধিগ্রহণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে এবং এতে ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে। তিনি সতর্ক করেন, পশ্চীম তীরে ১৯৬৭ সালের পূর্বে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে যে সমঝোতা ছিল তার বাইরে কোনো পরিবর্তনকে স্বিকৃতী দেবে না বৃটেন।
জনসন তার আর্টিকেলে ইসরাইলের প্রতি উষ্ণ অনুভূতি প্রকাশে জোর দিয়েছেন। একইসঙ্গে অধিগ্রহণের ঘোষণা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অধিগ্রহণ নিয়ে আগালে ইসরাইল তাদের সীমান্ত বিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হবে ও এটি ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে। একইসঙ্গে এতে আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘন হবে। তিনি লিখেন, আমি নিবিরভাবে আশা করছি যে, অধিগ্রহণ হবে না। যদি হয়, তাহলে বৃটেন ১৯৬৭ সালের সীমান্তের বাইরে, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা ব্যতিত অন্যকোনো পরিবর্তনের স্বিকৃতী দেবে না।

এদিকে, অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ইসরাইলের উপর চাপ বেড়েই চলেছে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইভস লা দ্রিয়ান এক পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে হুমকি দিয়েছেন, অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের পরিণতি আবশ্যক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অপশন বিবেচনা করা হচ্ছে ও ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া, জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আরব বিশ্বের বহু দেশ ইসরাইলের অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে একইরকম বিবৃতি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে পশ্চীম তীরের এক শতাংস সরাসরি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে আনার প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের প্রস্তাবের সূত্র ধরেই দখলীকৃত অংশ অধিগ্রহণে উদ্বুদ্ধ হয় ইসরাইল। ইসরাইলি মন্ত্রী আকুনিস জানান, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় ছাড়া সম্ভব নয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রতি জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে অধিগ্রহণের সময় ও সুযোগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। আকুনিস স্থানীয় আর্মি রেডিওকে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে ঘোষণা আসার পরই শুরু হবে অধিগ্রহণ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর