× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার কম বলে সন্তুষ্টির অবকাশ নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ভারত

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(৩ বছর আগে) জুলাই ২, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

ভারতে বুধবার করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন উনিশ হাজার ছশো চুরাশি জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছ' লক্ষ পাঁচ হাজার আটষট্টি জন। মৃতের সংখ্যা সতেরো হাজার চারশো ছাড়িয়েছে। তবু ভারত মনে করছে করোনায় মৃত্যুর হার সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতে সব থেকে কম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ ততটা মারাত্মক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর এ কথা বলার পিছনে কারণ আছে। ব্রিটেনে প্রতি দশ লক্ষে করোনায় মৃতের সংখ্যা যখন ছ' শো পঁয়তিরিশ আমেরিকায় যখন তিনশো ছিয়াত্তর, ভারতে তখন প্রতি দশ লক্ষে মৃতের সংখ্যা মাত্র এগারো। বিশেষজ্ঞদের এই পরিসংখ্যানেই আপত্তি।
তাদের সাফ বক্তব্য, ভারতে করোনার প্রসার এবং সংক্রমণ অন্য সব দেশের থেকে বেশি। করোনা সম্পর্কিত বিষয়ে ভারত সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ভেলোর এর ক্রিস্টিয়ান মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ জয়প্রকাশ মুলিয়ালি মনে করেন, ভারতে ডেথ রেজিস্ট্রেশন এর বিষয়টি যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ বলে করোনায় মৃতের প্রকৃত পরিসংখ্যান মিলছে না। তাছাড়া তিনি মনে করেন, সৌভাগ্যক্রমে ভারতের জনসমষ্টির মধ্যে তরুণের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এখানে মৃত্যুর হার কম। ডাঃ মুলিয়ালি করোনা প্রসারের জন্যে অসচেতনতা এবং অপরিকল্পিত লকডাউনকে দায়ি করছেন। ডাঃ মুলিয়ালির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কলকাতার বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ বিনায়ক দেব। তিনি বলেন, আমি গত এপ্রিল এর প্রথম দিকেই মানবজমিন পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর লকডাউন পালন করা উচিত। সেদিন আমার কথা শুনে অনেকে হেসেছিলেন। কিন্তু দেখুন ভারতে লকডাউন পালন করা হচ্ছে জুলাই মাসের শেষ দিন পর্যন্ত। কিন্তু এ কেমন লকডাউন? সব পরিষেবা খোলা রেখে সংক্রমণ বাড়ানো হচ্ছে। মৃতের হার কম বলে আত্মতুষ্টির কোন জায়গা নেই। কলকাতার ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাজী বিষ্ণুর মতে, কলকাতায় মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন একহাজার সাতশো চৌদ্দ থেকে নেমে দেড় হাজারের কম হয়েছে বলে দু হাত তুলে নাচার কিছু নেই। সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে এটাই ভাবনার।
মানুষের অসচেতনাকে দায়ি করলেন ডাঃ বিষ্ণুও। বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত ভারতে করোনার প্রসার দেখে। সরকার কিংবা জনসাধারণ এ ব্যাপারটি মাথায় রাখছেন তো?
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর