নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বালু বাহী ট্রাক, ট্রাক্টর লরি থেকে চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একদল শ্রমিকের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর থানায় মামলা হয়েছে। শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম বাচ্চু বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলার দুর্গপুরের সোমেশ্বরী নদীর বালু মহাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান, লরিতে করে বালু পরিবহন করা হয়। জেলার শ্যামগঞ্জ- বিরিশিরি সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ওই সমস্ত যানবাহন থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা উত্তোলন করা হয়। এতে বিরোধতা করছিল নেত্রকোনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। এ নিয়ে নেত্রকোনা জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের সাথে ওই সংগঠনটির বিরোধের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের বিরিশিরি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষের উপক্রম হয়। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
পরদিন বুধবার সকালে নেত্রকোনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে বিরিশিরিতে তাদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় কিছু শ্রমিক। এ সময় বলাই সরকার, শামীম আহমেদ, আরশাদ মিয়া, আবুল হাসেমসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা তিনটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর এবং দুইটি নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার সড়কে চাঁদাবাজী বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য শক্তিবলে কিছু সংগঠন সড়কে বালুবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর চাঁদা উত্তোলন করছে। প্রতিবাদ করায় মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের লোকজন আমাদেও ওপর হামলা করেছিল।
নেত্রকোনা জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সিবলী সাদিক বলেন, আমাদের লোকজন কারো উপর হামলা করে নি। নিজেরা নিজেদের ওপর হামলা করে দায় আমাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। হামলার অভিযোগে এক পক্ষ মামলা করেছে। আসামিদেও গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।