সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও তাড়াশ উপজেলায় পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার চরহরিনাথপুরের শাহজাহান আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪৫) ও তাড়াশ উপজেলার হামকুড়িয়া উত্তরপাড়ার মৃত ছকির আলীর ছেলে আমজাদ হোসেনকে (৫০)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২’র প্রধান কার্যালয়ের মিডিয়া অফিসার এএসপি এরশাদুর রহমান জানান, বেলকুচির মনিরুল ইসলামকে নিজের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় এবং তাড়াশের আমজাদ হোসেনকে (৫০) ৫ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেলকুচিতে মায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় ১৫ বছর বয়সী মেয়েটি তার সৎ মা ও বাবার আশ্রয়ে থাকতো। একবছর ধরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার বাবা নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল। মানসম্মানের ভয়ে মেয়েটি তার বাবার এই নির্যাতন সহ্য করে আসছিল। কিন্তু বিষয়টি অসহনীয় পর্যায়ে যাওয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় নির্যাতিত মেয়েটি তার বাবা মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা হওয়ার পর থেকে মনিরুল পলাতক ছিল। র্যাব-১২’র একটি টিম বুধবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পশ্চিম জনতা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে, ৮ই মে তাড়াশ উপজেলার মান্নান নগর বাজারের পাশে নির্জন স্থানে একটি অটোভ্যানের ভিতর হামকুড়িয়া গ্রামের ৫ বছরের এক শিশুকে একই গ্রামের আমজাদ হোসেন ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আমজাদ পলাতক ছিল। র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জের অপর একটি টিম বুধবার রাত ১১টার দিকে তাড়াশের মান্নান নগর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।