× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ানীবাজারে ‘লকডাউন’ বাড়িগুলোর দিনরাত্রি

বাংলারজমিন

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

চলমান করোনা মহামারিতে ‘লকডাউন’ শব্দের সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শনাক্ত হওয়া রোগীর বাড়িতে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়। লকডাউন বাড়ির সদস্যরাও যাতে অন্যের সংস্পর্শে না যেতে পারেন এজন্য প্রশাসনের উদ্যোগে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এক্ষেত্রে ‘সাবধান, বাড়িটি লকডাউন’-এমন সাইনবোর্ড টাঙিয়ে অন্যদের সতর্ক করে প্রশাসন।  যদিও লকডাউন কারো কাছে বিব্রতকর, কারো কাছে কষ্টের। বিয়ানীবাজার উপজেলায় লকডাউন বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৭০টি। এসব বাড়ির সদস্যরা সাধারণত: বাড়ির বাইরে বের হননা। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের ১৪-২১দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। লকডাউন হওয়া বাড়িতে খাবার-ফলমূল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়।  সরজমিন জানা যায়, বিয়ানীবাজারের লকডাউন হওয়া বাড়িগুলোর দিনরাত্রি।
কেমন কাটে তাদের দৈনন্দিন জীবন। একাধিক বাড়ির সদস্যরা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণার পর তাদের বাড়িতে এবাদত-বন্দেগি বেড়েছে। করোনা শনাক্ত ব্যক্তিকে একটি আলাদা কক্ষে রেখে আইসোলেশন নিশ্চিত করা হয়। চিনি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার কমিয়ে পুষ্টিকর খাবারের প্রবণতা বাড়ে। আত্মীয়স্বজনরা ফোনে খোঁজ নেন কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। কোন কোন প্রতিবেশী সহযোগিতায় এগিয়ে আসলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতিবেশীরা দূরে সরে থাকেন। করোনার শুরুতে প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা খাবার সরবরাহ করলেও এখন আর তা হচ্ছেনা। জরুরী প্রয়োজনে ফোনের মাধ্যমে নিকটস্থ আত্মীয়স্বজনদের সহযোগিতা নেয়া হয়। বাসায় প্রাইভেট শিক্ষক ও ধর্মীয় হুজুরের আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন ও টেলিভিশন নিয়ে অনেকে ব্যস্ত থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক করোনা রোগী মোবাইল ফোনে জানান, ‘তার ৮ বছর ও ১০ বছর বয়সী দু’টি সন্তান রয়েছে। তারা বাবার কাছে আসতে চাইলেও পারছেনা। দূর থেকে বাবাকে ডেকে চকলেট-চিপস কিনে আনার কথা বলে। এসব জিনিস তো আর আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে নিয়ে আসা যায়না। তখনই সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়।’ অপর আরেক করোনা রোগী জানান, ‘তার হাতে কোন টাকা নেই। ব্যাংকে টাকা থাকলেও বের হয়ে ওঠাতে পারছেননা। আর পকেটে টাকা না থাকলে নিজেকে অসহায় মনে হয়।’ লকডাউন বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘তাদের আত্মীয়স্বজনদের অভাব নেই। কিন্তু পরিবারের এক সদস্যের করোনা সনাক্তের পর হাতেগোনা দু’একজন আত্মীয় ফোনের মাধ্যমে তাদের খবর নিয়েছেন। যদিও কোন প্রতিবেশী তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেননি।’  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর