শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুতগামাগে বোমা ফাটান কিছুদিন আগে। বলেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপটা ভারতের কাছে বিক্রি করেছিলাম আমরা।’ এ নিয়ে লঙ্কানদের ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গার প্রশ্ন- গোমর ফাঁস করতে কেন ৯ বছর সময় নিলেন আলুতগামাগে? লঙ্কানদের মধ্যে সর্বপ্রথম রানাতুঙ্গাই দাবি করেন যে ম্যাচটা ছিল পাতানো। তখন তার কথা গুরুত্ব দেয়নি কেউ। তবে দীর্ঘদিন পর তদন্ত শুরু হওয়ায় খুশি রানাতুঙ্গা। শ্রীলঙ্কার ট্রান্সপোর্ট ও সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রী রানাতুঙ্গা মনে করেন, ফিক্সিংয়ে খেলোয়াড়রা জড়িত থাকলে তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিৎ। আলুতগামাগের দাবির পর ২০১১ ফাইনাল ম্যাচের তদন্তে নেমেছে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল ইউনিট। এরই মধ্য ওই বিশ্বকাপে লঙ্কান দলের নির্বাচক প্যানেলের প্রধান অরবিন্দ ডি সিলভা, অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা ও সিনিয়র ক্রিকেটার মাহেলা জয়াবর্ধনে-উপুল থারাঙ্গাকে জেরা করেছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যম ডেইল মিরর শ্রীলঙ্কাকে রানাতুঙ্গা বলেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তদন্ত করতে কেন এতদিন সময় নিলো, তা যে কাউকে বিস্মিত করবে।
আর সাবেক স্পোর্টস মিনিস্টারই (আলুতগামাগে) কেনবা ফিক্সিংয়ের ব্যাপারটা বলতে ৯ বছর সময় নিলেন?’ তদন্ত ঠিকঠাক হবে কিনা এ নিয়েও সন্দেহ আছে রানাতুঙ্গার। এজন্যই বলেছেন, ‘২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ফিক্সিং নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু সেটা হতে হবে জেনুইন। দোষীদের সাজার আওতায় এনে তদন্তের ইতি টানতে হবে। ক্রিকেটারসহ যে কেউ, যদি বিশ্বকাপ ফাইনাল পাতানোয় সম্পৃক্ত থাকে তাকে শাস্তি দিতে হবে।’ দেশের ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রানাতুঙ্গা। তিনি বলেন, ‘এটা শুরু হয়েছে ২০০৮ থেকে। তখন থেকেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) বাজিকরদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এটা ইতিমধ্যেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢুকে পড়েছে। আমি তখনকার প্রেসিডেন্ট মহিন্দ্র রাজাপাকশে ও ক্রীড়ামন্ত্রী গামিনি লুকুগেকে বলেছিলাম খেলোয়াড়দের প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেটে খেলতে না দিতে। কিন্তু তারা কানে তোলেনি আমার কথা। কার্যকরি ব্যবস্থা না নেয়া হলে শিগগিরিই ম্যাচ ফিক্সিং শ্রীলঙ্কার স্কুল ক্রিকেটে ঢুকে পড়বে।’