× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বঙ্গবন্ধুর নামেই হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৩ জুলাই ২০২০, শুক্রবার

২০১৮ সালে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল বাংলাদেশে। পরের আসরের আয়োজক হওয়ার কথা ছিল অন্য কোনো দেশের। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর জন্য টুর্নামেন্টটি ফের ঢাকায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন সাফ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তবে করোনার কারণে সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে গেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। ২০২০ সালে হবে না নিশ্চিত, ২০২১ সালের কখন হবে তাও ঠিক হয়নি। দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য সেপ্টেম্বরে সভায় বসবে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সময় নির্ধারণ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্টের। আসরটি বাংলাদেশেই বসবে।
জাতীর জনকের নামেই অনুষ্ঠিত হবে এই আসর।
২০২১ সালের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত পালন হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এ সময়ের মধ্যে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন সম্ভব কিনা এ প্রশ্নের জবাব নেই কারও কাছেই। সবকিছু নির্ভর করবে দেশ করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়ে কখন স্বাভাবিক হবে তার ওপর। আগামী মার্চের মধ্যে যদি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিবেশ তৈরি না হয় তাহলে আরও পিছিয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর মধ্যে টুর্নামেন্ট না করতে পারলেও, বঙ্গবন্ধুর নামেই হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘আগামী বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা বঙ্গবন্ধুর নামেই টুর্নামেন্টটি করার চেষ্টা করবো। কারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর জন্য আমরা এই আসরটির আয়োজক হয়েছি। ১৭ মার্চের আগে কিংবা পরে যখনই হোক আমরা “বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ” নামেই এই টুর্নামেন্ট করব।’ এ বছর ১৯ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্ট। করোনা ভাইরাসে খেলাধুলা বন্ধ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় দিনদিন এ ভাইরাসটি বেশি বিস্তার হচ্ছে। প্রাণহানিও বাড়ছে। তাই সেপ্টেম্বরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সম্ভব না সেটা ধরেই নেয়া হয়েছিল। গত সোমবার সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) কর্মকর্তারা ৭ দেশের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে টুর্নামেন্ট এ বছর আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  ছেলেদের জাতীয় দলের পাশাপাশি ছেলে-মেয়ে দুই বিভাগেরই বয়সভিত্তিক কয়েকটি টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা আছে এ বছর। সেগুলোর মধ্যে এ বছর ডিসেম্বরে দুই-একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার চেষ্টা করবে সাফ, যদি পরিস্থিতি অনুকূলে আসে। না হলে সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মতো অন্য টুর্নামেন্টগুলোও চলে যাবে ২০২১ সালে।
ঘরের মাঠে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে ভুটানকে ২-০ ও পাকিস্তানকে ১-০ গোলে হারালেও শেষ ম্যাচ ২-০ গোলে হেরে যায় নেপালের কাছে। নেপালের সঙ্গে ড্র করলেই সেমিফাইনালের টিকিট পেতো বাংলাদেশ। কিন্তু হেরে পাকিস্তানের সমান ৬ পয়েন্ট হলেও গোল গড়ে বাদ পড়ে যায় জেমি ডে’র দল। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে নতুন করে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পাওয়ার পর সাফ শিরোপাটা প্রধান লক্ষ্য করেছেন। গত দুই বছরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের কিছু অর্জন থাকলেও কোনো ট্রফি জেতা হয়নি। যে কারণে একটি ট্রফি জয় এখন প্রধান লক্ষ্য জেমি ডে’র। তাই ঘরের মাঠের এই আসরেও বাড়তি নজর এই বৃটিশ কোচের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর