ক্রিকেটাঙ্গনে সুখবর। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও তার পরিবারের করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির খবরের পরই পাওয়া গেল আরেকটি স্বস্তির খবর। প্রাণঘাতী ভাইরাস জয় করেছেন সাবেক ওপেনার নাফিস ইকবালও। সাবেক এই ক্রিকেটারের সঙ্গে তার মা, দুই সন্তান ও বাসার গৃহকর্মীরও মুক্তি মিলেছে কোভিড-১৯ রোগ থেকে। বুধবার দ্বিতীয় দফা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পান নাফিস। প্রত্যকের ফল ‘নেগেটিভ’।
গত ১৩ই জুন সপরিবারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস ইকবাল। ১২ দিন আগে নাজমুল অপুর সঙ্গে করোনা ধরা পড়ে সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার।
দুইদিন পর করোনা ধরা পড়ে মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজার। জানা গেছে, দুজনই এখন সুস্থ আছেন। তবে করোনা থেকে মুক্তি মিলেছে কিনা, সেটি জানা যাবে আরেকবার নমুনা পরীক্ষার পর। করোনামুক্তির পর নাফিস বলেন, ‘আমাদেরকে খুব বড় সমস্যায় পড়তে হয়নি। শুরুতে জ্বর ছিল। ঠাণ্ডা ছিল। হাঁচি-কাশি ছিল। ধীরে ধীরে জ্বর কমে আসে। আম্মাকে নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। উনার বয়সও হয়েছে। টুকটাক শারীরিক সমস্যা ছিল। তবে এখন সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। আমাদের সবার করোনা রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে। বাসাতেই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে সুস্থ হয়ে উঠেছি।’ ২০০৪ সালে ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় নাফিসের। তারও আগে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখেন তিনি ওয়ানডে দিয়ে, ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। জাতীয় দলের হয়ে ১১ টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন নাফিস। সাদা পোশাকে করেছেন ৫১৮ রান, যাতে আছে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি ফিফটি। আর ১৬ ওয়ানডেতে করেছেন ৩০৯ রান। সেখানে রয়েছে দুটি হাফসেঞ্চুরি। জাতীয় দলের অধ্যায় শেষ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন তিনি দীর্ঘ সময়। ২০১৭ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং পরের বছর লিস্ট ‘এ’ থেকে অবসর নেন ৩৪ বছর বয়সী সাবেক ওপেনার। জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর বিসিবি, বিপিএলসহ ঘরোয়া টুর্নামেন্টের দলে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন নাফিস। এছাড়া জাতীয় লীগে চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাচক ও ম্যানেজার হিসেবেও যুক্ত আছেন তিনি।