ভারতে রেল পরিষেবার একাংশ বেসরকারি হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। কলকাতা থেকে যাতায়াতকারী পনেরোটি রুটকে তুলে দেয়া হচ্ছে বেসরকারি হাতে। দেশে মোট একশো একান্নটি ট্রেন চলবে বেসরকারি পরিচালনায়। কংগ্রেস, সিপিএমসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে মোদি সরকারের রেল বেসরকারি করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে বেসরকারি ট্রেনগুলো দ্রুত ছুটতে পারে এবং তাদের যাত্রা মসৃণ হয়, সারা দেশে একশোটি মন্থর গতির ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলার আছে সতেরো জোড়া ট্রেন। রেল ইউনিয়নগুলোর মতে, ভারতে যাত্রী পিছু প্রতি টিকিটে তেতাল্লিশ পয়সা ভর্তুকি দেয় রেল। বেসরকারি সংস্থার হাতে রেল চালানোর দায়িত্ব গেলে এই ভর্তুকি উঠে যাবে।
বেসরকারি সংস্থা লাভের মুখ দেখার জন্যে টিকিটের দাম বাড়াবে। ফলে, যাত্রীরা সমস্যায় পড়বে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী রেল বেসরকারিকরণকে আত্মহত্যার সামিল বলে জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের ওপর কোপ পড়বে। এ দেশে এই বিলাসিতা সাজে না। অধীর বাবু যাই বলুন, প্রথম দফার বেসরকারিকরণের মাধ্যমে রেল তিরিশ হাজার কোটি টাকা মুনাফা তুলবে।