পাকার পরিবর্তে রাস্তার উপরে গজিয়েছে ঘাস। তবুও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। নির্মাণকাজে ধীর গতি চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। নির্মাণের ২ বছরের বেশি সময় পেরুলেও এখনো সম্পূর্ণ হয়নি কাজ। ভাঙাচুরাভাবে পড়ে রয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মহাসড়ক সংলগ্ন পশ্চিম সুবিদখালী সরকারি প্রা. বিদ্যালয় হয়ে ইসমাইল মেম্বার বাড়ি পর্যন্ত ২ কিঃমিঃ রাস্তার এ করুণ অবস্থা। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ২৯শে আগস্ট ১ কোটি ৫০ লাখ ৬০ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির দরপত্র আহ্বান করা হলে পটুয়াখালীর মেসার্স বশির উদ্দিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. বশির উদ্দিন কাজটি পান।
২০১৮ সালে ১লা সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজ শুরুর কিছু দিন যেতে না যেতেই ৯০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বিল উত্তোলন করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর ২ বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ করেনি ঠিকাদার। সরজমিনে জানা যায়, রাস্তাটি পূর্বে ইট সলিং ছিল। এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তাটির পিচ ঢালাই কাজ শুরু হয়। আর তখন থেকে শুরু হয় এলাকাবাসীর ভোগান্তি। আগের রাস্তা ভেঙে নতুন রাস্তার কাজ শুরু করে ঠিকাদার। কিছুদিন কাজ করার পরে কাজ বন্ধ করে দেয়। তারপর দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও আর কাজ করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। সংশ্লিষ্ট অফিসও রয়েছে নীরব। রাস্তাটি এখন এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাড়ি তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই দায়। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করছে। রাস্তাটি বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আর এবড়ো-খেবড়ো হয়ে গেছে পুরো রাস্তা। ফলে ওই এলাকার পথচারীসহ শিক্ষার্থীদের চলাচলে ভোগান্তির আর শেষ নেই। স্থানীয়রা জানান, আগে তবুও ইট ছিল। আর যা হোক হাঁটা গেছে। কিন্তু এখন হেঁটে চলাচলের কোনো উপায় নেই। কাজ শুরু করে কিছুদিন পর হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দেয়। এখন রাস্তা ভাঙা, গর্ত ও পানি-কাদায় একাকার। চলাচলের কোনো উপায় নেই। অতি শিগগিরই রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানান তারা। এভাবে অর্ধনির্মিত পড়ে রয়েছে উপজেলার রামপুর, শিশুরহাট এলাকার রাস্তাসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাট। মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম উর রশীদ বলেন, রাস্তাটির কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আবারো লিখিতভাবে তাগিদ দেয়া হবে। এছাড়া পটুয়াখালী জেলা প্রকৌশলী কিছুদিন পূর্বে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন।