× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্র্যাকটিস ভেন্যুতেই থাকবে আইসোলেশন সেন্টার

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৪ জুলাই ২০২০, শনিবার

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের ক্রিকেট। শিগগিরই মাঠে ক্রিকেট ফেরার সম্ভাবনা নেই। তবে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির কোভিড-১৯ গাইডলাইন মেনে তৈরি রাখা হচ্ছে আটটি স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানের দেয়া তথ্যমতে অনুশীলন চলাকালীন ভেন্যুতেই প্রস্তুত থাকবে আইসোলেশন সেন্টার।
ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, সিলেটের সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ও রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে চলছে টানা কাজ। প্রতিটি ভেন্যুতে একশ’ জনের বেশি গ্রাউন্ডসম্যান ও কর্মী পিচ, আউটফিল্ড ও ফ্যাসিলিটিজ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছেন। মাঠ ক্রিকেটের উপযোগী রাখতে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব পালন করছেন তারা। কাজ করছেন বিদ্যুৎ ও পানি উপকেন্দ্রের কর্মীরাও।
বিসিবির গাইডলাইন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা অনুসরণ করছে ভেন্যুগুলো। বিসিবি কর্মী ও শ্রমিকদের স্যানিটাইজেশন প্রটোকল মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হলেও বিসিবি ফ্যাসিলিটিজগুলোয় যথেষ্ট পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তারা। বলেন, ‘মাঠের ক্রিকেট চালুর প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত অনুশীলন দিয়ে। এর জন্য আমাদের মাঠ ও অনুশীলন ফ্যাসিলিটিজ প্রস্তুত ও সচল রাখতে হবে।’ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে দুই হাজারের কাছে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ এখন রয়েছে ১৮ নম্বরে। মহামারির সময় আইসিস্থির গাইডলাইন অনুসরণ করে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য মেডিকেল বিভাগকে যে মডিউল তৈরির নির্দেশনা লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রশাসন দিয়েছিল তা তৈরি করেছে তারা। যদিও দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও তাড়াহুড়ার কারণ দেখছে না। আর যাই হোক ক্রিকেটারদের জীবন নিয়ে তো আর হেলাফেলা করা যায় না। সংগত কারণেই পরিস্থিতির উন্নতির দিকে তাকিয়ে লাল-সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসন। পরিস্থিতি  স্বাভাবিক হলেই ফিরিয়ে আনা হবে অনুশীলন। আর সেই অনুশীলন ভেন্যুর অদূরে প্রস্তুত করা হবে আইসোলেশন সেন্টার। যাতে করে অনুশীলন চলাকালীন সময়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে গিয়ে বিশ্রাম নিতে পারেন। আইসোলেশন সেন্টারের জন্য বিসিবি মেডিকেল বিভাগ শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামস্থ জাতীয় ক্রিকেট একডেমির দুই তিনটি রুম প্রস্তুত রাখার পরিকল্পনা করেছে। বিসিব্থির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘অনুশীলন ভেন্যুতে আমাদের আইসোলেশন সেন্টার রাখতে হবে। ধরেন মাঠের মধ্যে কেউ অসুস্থ অনুভব করলে। তখন কি করবো? আমাদের একাডেমিতে কিছু রুম আছে এরমধ্যে দুই তিনটা রুম হয়তো প্রস্তুত করে রাখব যাতে করে তারা ওখানে বিশ্রাম নিতে পারে।’ তবে করোনাকালে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে আইসোলেশন সেন্টার ব্যবহারের পক্ষপাতী নন দেবাশীষ। এমনকি এখানকার টয়লেটও নয়। ‘আমরা চাইবো এসব অবকাঠামো যত কম ব্যবহার করতে পারি। শুধু অনুশীলন করে যেন ওরা বাসায় চলে যায়। আমরা হয়তো ওখানে দুটি ওয়াশরুম প্রস্তুত রাখবো। কিন্তু আমরা চাইবো ওরা যেন বাসা থেকে ওইভাবে প্রস্তুত হয়ে আসে যেন ব্যবহার করতে না হয়।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর