হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে নতুন নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করছে চীন। এই এজেন্সি সরাসরি জবাবদিহি করবে বেইজিংয়ের কাছে। এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কট্টরপন্থি, বহু সমালোচিত ঝেং ইয়ানসিয়ংকে। চীনের দক্ষিণে উকান নামে একটি গ্রামে ভূমি নিয়ে বিরোধ থেকে সৃষ্ট প্রতিবাদ বিক্ষোভ নিষ্ঠুর হাতে নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপরিচিত তিনি। সম্প্রতি চীনের ন্যাশনাল কংগ্রেস হংকং ইস্যুতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাস করে। ১লা জুলাই থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে। বিরোধীরা বলছে, এই আইনের অধীনে ওই ভূখন্ডের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, এতে স্বাধীনতার দাবি, ভাঙচুর এবং ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকান্ডকে টার্গেট করা হয়েছে।
এসব অভিযোগে কেউ অভিযুক্ত হলে তাকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হবে।
এমন নিষ্ঠুর আইনের কারণে গণতন্ত্রপন্থি অনেক কর্মী এরই মধ্যে তাদের আন্দোলনের ভূমিকা থেকে সরে গেছেন। তার মধ্যে অন্যতম এক সময়ের ছাত্রনেতা ও স্থানীয় লেজিসলেটর নাথান ল। তিনি এরই মধ্যে হংকং ছেড়েছেন। তবে কোথায় আছেন তা জানাতে তিনি অস্বীকার করেছেন। নতুন আইনের বিরুদ্ধে বুধবার বিক্ষোভ করেছেন অনেক মানুষ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ জনকে। তার মধ্যে একজনকে প্রথমবারের মতো এই আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে করে একদল পুলিশের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি বহন করছিলেন একটি পতাকা। তাতে হংকংকে স্বাধীন করার আহ্বান সম্বলিত স্লোগান ছিল। ফলে তার বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওদিকে বিক্ষোভের সময় আটক করা হয় কয়েক শত বিক্ষোভকারীকে। এ আইনের সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। তারা বলছে, ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থি যে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, তা বন্ধ করার জন্য এ আইন জরুরি প্রয়োজন।