× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাঙ্গলকোটে মাছ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

বাংলারজমিন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
৪ জুলাই ২০২০, শনিবার

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে মহসিন ইউসুফ (৩৬) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী ও পিকআপ ভ্যান মালিকের লাশ রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মন্তলী বাজার ব্রিজের উত্তর পাশ থেকে শনিবার সকালে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। মহসিন ইউসুফ শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মন্তু মিয়ার ছেলে।  নিহত মহসিন গত ১০ বছর যাবৎ একই উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের আঙ্গুলখোড় গ্রামে বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। মহসিন প্রতিদিন সকালে তার পৈত্রিক ভূমি শ্রীরামপুর গ্রামে ব্যবসায়িক সুবিধার্থে চলে আসতেন, অনেক রাত করে বাড়ীতে ফিরতেন বলে জানান নিহতের স্ত্রী শামছুনন্নাহার। খবর পেয়ে পুলিশের চৌদ্দগ্রাম সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশ্রাফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মন্তু মিয়ার ছেলে মহসিন ইউসুফ (৩৬)  গত ১০/১২ বছর থেকে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের আঙ্গলখোঁড় গ্রামে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। মহসিন নিজস্ব পিকআপভ্যানে করে বিভিন্ন মৎস্য খামারের মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত মহিসন তার শ্রীরামপুরের পৈত্রিক বাড়ী সংলগ্ন বাঙ্গড্ডা-হাসানপুর আঞ্চলিক সড়কের শ্রীরামপুর রাস্তার মাথার আলমের চা দোকানে তার ভাই আবদুর রশিদ ও ইয়াছিনসহ বসে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর একই ইউপির মালিপাড়া গ্রামের হানিফ ড্রাইভারের প্রাইভেটকারে করে মহসিন ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে অটোরিক্সা চালক কামরুল ইসলামথসহ পার্শ্ববর্তী শান্তিরবাজারের দিকে চলে যান।
শান্তির বাজারে গিয়ে দুলালের মটরসাইকেল ওয়ার্কসপের সামনে নেমে যান বলে জানান চালক হানিফ। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে নিহতের  মোবাইল ফোনে কল করে মোবাইল বন্ধ পায় তার পরিবার। শনিবার ভোরে স্থানীয়রা তার বাড়ি সংলগ্ন খাল পাড়ের ব্রীজের পাশে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে প্রথমে অজ্ঞাত লাশ হিসেবে শনাক্ত করে। পরে তার ভাই ও আত্মীয়রা এসে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে।

মহসিনের ভাই মো: এয়াছিন জানান, গত ৬/৭মাস পূর্বে মহসিনের মাছের ড্রাম চুরি নিয়ে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট গ্রামের বেছা মিয়া কবিরাজের মেয়ের জামাই একই ইউনিয়নের বাঙ্গড্ডা উত্তর পাড়ার শাহপরানের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। মহসিন শাহপরানের নিকট মাছের দুইটি ড্রাম ও নগদ ১২ হাজার টাকা পায়। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হলে শাহপরান তার শশুর বেচামিয়া কবিরাজ ও তার বড় ছেলে মহসিনকে মারপিট করে।  এঘটনায় এলাকায় সালিশ বৈঠক বসে, সালিশ বৈঠকে শাহপরান ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সালিশ বৈঠকে মহসিনকে তার পাওনা মাছের দুইটি ড্রাম ও নগদ ১২ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মহসিনের ভাইদের ও তার পরিবারের ধারণা শাহপরানের সাথে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। মহসিনের মাথা, চোখে পিঠে রক্তের দাগ, হাত ভাঙ্গা ও রাতে বৃষ্টি না হলেও তার লুঙ্গি ও শরীর ভেজা ছিলো বলেও জানান তিনি।

নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর