সিলেটের গোয়াইনঘাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে দুদকের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত টাকায় ভাগ বসালেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ভ্যাটের অযুহাতে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪১টি বিদ্যালয় থেকে ৫শ’ টাকা করে বখরা রেখে দেন উক্ত কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ দুদকে যোগাযোগ করলে জানা যায়, ভ্যাট রেখেই প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা হারে গোয়াইনঘাটের মোট ৪১টি স্কুল ও মাদ্রাসায় সর্বসাকুল্যে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা দুদক কর্তৃক বরাদ্দ হয়। নিয়ম অনুসারে উক্ত বরাদ্দকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা দেয়ার নিয়ম থাকলেও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠান প্রতি ৫শ’ টাকা করে রেখে দেন ভ্যাটের কথা বলে। বিষয়টি বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক হয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গোয়াইনঘাটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এলাকার শিক্ষক এবং সুশীল সমাজের মধ্যে এই ঘটনায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জানা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে যোগদানের পর নজরুল ইসলাম গোয়াইনঘাটের সর্বত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে লাগামহীন দুর্নীতি করে আসছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের নতুন এমপিওভুক্তিকরণে শিক্ষক/কর্মচারীদের ফাইল প্রেরণে ও বিএড স্কেলের ফাইল প্রেরণে প্রতি শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন এমন অভিযোগের অন্ত নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষক কর্মচারীরা জানিয়েছেন, এমন নির্লজ্জ শিক্ষা কর্মকর্তা আসেননি কখনো গোয়াইনঘাটে। তার এই লাগামহীন দুর্নীতির করালগ্রাস থেকে রেহাই পায়নি দুদকের টাকাও। দুদক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়সমূহে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা করে কেটে রেখে তিনি তার চলমান দুর্নীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে কথা হলে গোয়াইনঘাটের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা বিষয়টি ভ্যাট বাবদ কেটে রেখেছেন বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সিলেটের দুদুকের সহকারী পরিচালক জানান, ভ্যাট কেটে রেখে নীট ৪ হাজার ৫শ’ টাকা হারে বিদ্যালয়সমূহে বরাদ্দ দেয়া হয়।