আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদের (ওসি) অপসারণ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৭ ইউপি চেয়ারম্যান। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয় ওসির বিরুদ্ধে। এ ছাড়া জাবেদ মাহমুদ এই থানায় যোগদানের পর থেকে উপজেলায় মাদক ব্যবসা, চুরি-ছিনতাই ও জুয়া খেলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন। চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার, দুর্গাপুর ইউপি’র জিয়াউল করিম খান সাজু, তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের আবু শ্যামা, আড়াইসিধার মো. সেলিম মিয়া, তারুয়ার মো. ইদ্রিস হাসান ও শরীফপুরের চেয়ারম্যান সাইফ উদ্দিন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ওসি বিভিন্ন সময় তালশহর, তারুয়া ও চরচারতলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। একইভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে চলেছেন ওসি।
বৃহস্পতিবার ওসি ১৫/২০ জন পুলিশ নিয়ে সোনারামপুর গ্রামে আশেকুর রহমান রনি নামে এক সাংবাদিকের বাড়িতে যান। ওসি ওই সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন এই খবর পেয়ে চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন সেখানে যান। ওসির কাছে রনির সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে ওসি তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। ওসি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনকে বলেন-‘তুই কে আমাকে জিজ্ঞেস করার, তোকে ধরে থানায় নিয়ে শায়েস্তা করবো।’ আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন বলে উল্টো অভিযোগ করেন।