আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে টানা ২৭ মাস শীর্ষে ছিল পাকিস্তান। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ২০১৯-এর শুরু পর্যন্ত। ৩৩ ম্যাচে ২৯টিই জেতে তারা। গত বছর হঠাৎ ছন্দপতন। ১২ ম্যাচে ৮টি হেরে পাকিস্তান নেমে যায় চতুর্থ স্থানে। দলের নতুন অধিনায়ক বাবর আজম জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের মাটিতে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে চোখ রাখছেন র্যাঙ্কিংয়ে।
বাবর বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা কিছু ম্যাচ হেরেছি। আমাদের র্যাঙ্কিং দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিচে নেমে গেছে। আমরা তখন কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলাম।
এখন আমাদের টিম কম্বিনেশন ঠিক আছে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের দিয়ে দল গঠন করা হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী আমরা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি- টোয়েন্টি সিরিজে ভালো খেলে র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি করতে পারবো।’
অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যদিও আসরটি শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে কি না এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। আর বাবর বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী যদি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। আমার বিশ্বাস, আমাদের দল সেখানে ভালো করবে।’
২৫ বছর বয়সী বাবর বর্তমানে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান। সরফরাজ আহমেদের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব পেয়ে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে ৫টি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। হারজিত সমান ২টি করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে রোমাঞ্চিত বাবর বলেন, ‘পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে আমি অবশ্যই চাইবো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা যেন পিছিয়ে না যায়। স্কিপার হিসেবে এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ। কিন্তু সিদ্ধান্তটা কর্তৃপক্ষের।’
সম্প্রতি পাকিস্তানের কোচিং স্টাফে যুক্ত হয়েছেন দলটির সাবেক তারকারা। মিসবাহ উল হক রয়েছেন প্রধান কোচ ও নির্বাচকের দায়িত্বে। বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনুস। ব্যাটিং পরামর্শক ইউনুস খান। আর স্পিন বোলিং উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সাকলাইন মুশতাককে। বাবর বলেন, ‘দলের খেলোয়াড়রা ওদের উপস্থিতির অনেক সুফল পাবে। তাদের অভিজ্ঞতা অনেক। আমাদের কাজ হলো তাদের কাছ থেকে শেখা। আমি নিশ্চিত, আমাদের সবাই তাই করবে। তাদের কাছ থেকে ক্যাপ্টেন্সি আর্ট শিখতে আগ্রহী আমি।’