× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হজ প্রোটোকল: হজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতে পারবেন না হজযাত্রীরা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুলাই ৬, ২০২০, সোমবার, ২:০৬ পূর্বাহ্ন

ব্যতিক্রমী উপায়ে এবার পালিত হবে পবিত্র হজ। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে খুবই সীমিত আকারে এক হাজারের কম সংখ্যক হজযাত্রী পালন করবেন হজ। এতে নির্ধারণ করা হয়েছে বেশ কিছু প্রোটোকল বা বিধিবিধান। এর আওতায় থাকবেন সব কর্মী ও হজযাত্রী। এর মধ্যে ১৯ শে জুলাই থেকে অনুমোতি ছাড়া মদিনা, মুজদালিফা এবং আরাফাতের ময়দানে সবার জন্য প্রবেশে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। সব স্থানে নির্দেশনা ও সচেতনতামুলক সাইন থাকতে হবে। তাতে থাকবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতা, হাতধোয়ার প্রোটোকল, হাঁচি-কাশি হলে কি করতে হবে তার নির্দেশনা এবং এলকোহল মিশ্রিত স্যানিটাইজার ব্যবহার সম্পর্কিত নির্দেশনা থাকবে তাতে অনেক ভাষায়। পবিত্র কাবার চারদিকে তাওয়াফ এলাকায় হজযাত্রীদের দূরে দূরে সরিয়ে দেয়ার দায়িত্বে থাকবেন আয়োজকরা।
তারা চেষ্টা করবেন প্রতিজন হজযাত্রীর মধ্যে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখার। এ ছড়া পবিত্র গ্রান্ড মসজিদের আয়োজদের অবশ্যই সা’ইয়ি করার জন্য প্রতিটি তলায় হজযাত্রীদের ছড়িয়ে দিতে হবে। সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে হাজীরা যে ছোটাছুটি করেন তাকেই সা’ইয়ি বলা হয়। কাবা ও সা’ইয়ি এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ট্র্যাক লাইন রাখা হবে। প্রতিটি গ্রুপ তাওয়াফ করার পর স্যানিটাইজার দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করা হবে।
এবার হজে পবিত্র কাবা ও হজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর স্পর্শ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এসব স্থানে পৌঁছানোর পথে প্রতিবন্ধকতা দেয়া হবে। তুলে ফেলা হবে মসজিদের কার্পেট। এক্ষেত্রে হজযাত্রীরা তাদের নিজস্ব জায়নামাজ ব্যবহার করতে পারবেন। মসজিদের ভিতরে বা মসজিদ চত্বরে কোনো খাবার অনুমোদন দেয়া হবে না। হজ চলাকালীন পুরোটা সময় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি, গাইড, হজযাত্রী ও কর্মীদের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হবে। সব সময় পরতে হবে ফেসমাস্ক। ব্যাগেজ এলাকায়, রেস্তোরাঁয় এবং বাস স্টপেজগুলোতে ফ্লোর সাইন অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। প্রতিটি সাইনের মধ্যে দেড় মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। আরাফাতের ময়দানে এবং মুজদালিফায় হজযাত্রীদের সব সময়ই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। আয়োজকদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ৫০ বর্গমিটারের একটি তাঁবুতে যেন ১০ জনের বেশি হজযাত্রী অবস্থান না করেন। সেখানে প্রতিজন হজযাত্রীকে দেড় মিটার দূরত্বের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। প্রতি গ্রুপে যেন ৫০ জনের বেশি হজযাত্রী জামারায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে সমবেত না হতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে আয়োজকদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর