ব্রিজ থাকলেও নেই সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে দুই উপজেলাবাসী। প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত ভাষা বীর এম,এ ওয়াদুদ সেতুর মুল কাজ সম্পন্ন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে সেতুর সংযোগ সড়কের নকশা অনুমোদনের অপেক্ষায়। চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের ছোট সুন্দর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত সেতুটি সদর উপজেলা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাথে সংযোগ হওয়ার ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেড ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭৪.২০ ২০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি মূল কাজ শেষ করেছে। বাকি রয়েছে দু’পাড়ের সংযোগ সড়ক। সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না সেতুটি।
সংযোগ সড়ক না হওয়ায় দুই উপজেলাবাসী নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে। দৃষ্টি নন্দন এই সেতুটি চাঁদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পিতা ভাষাসৈনিক এম এ ওয়াদুদের নামে নামকরণ করায় স্থানীয়রা শিক্ষামন্ত্রীকে সাদুবাদ জানিয়েছে। দ্রুত বাবার নামে নির্মিত সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দুই উপজেলাবাসীর সেতুবন্ধন অটুটের দাবি জানিয়েছেন। ক’জন এলাকাবাসী জানান, দুই উপজেলার মধ্যে এই ব্রিজটি সেতুবন্ধন তৈরী করেছে। সংযোগ সড়কটি দ্রুত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী সুব্রত জানায়, সেতুটির কাজের মান নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। যত দ্রুত সংযোগ সড়ক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাঁদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস বলেন, সেতুটি শিক্ষামন্ত্রীর পিতা ভাষা বীর এম,এ ওয়াদুদ সেতু নামকরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মূল সেতুটির কাজ শেষ হয়েছে। এপ্রোসের নকশা অনুমদোন হলে আশা করি চলতি অর্থবছরেই এপ্রোসের কাজ সম্পন্ন করে সেতুটি চালু করতে পারবো। রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান.আল মামুন পাটোয়ারী বলেন, সেতুটি চালু হলে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ-এর সড়ক পথের দূরত্ব অনেকাংশে কমে আসবে।