স্কুলছাত্রী ধর্ষণকারী রুবেল হোসেন (২২) কে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত শনিবার রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর এলাকায় ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হওয়ার পর ধর্ষিত কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে পাশের গ্রামের রুবেল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথে কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি ওই স্কুলছাত্রী তার বাবা মাকে জানালে তারা রুবেলের পরিবারে অভিযোগ করে। এতে রুবেল আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। শনিবার রাতে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে পেছন থেকে রুবেল তার মুখ চেপে ধরে দুইশ’ গজ দূরের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে তার বাড়ির টয়লেটে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে চলে যায়। মাঝরাতে এলাকায় ওই যুবককে দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করার চেষ্টা করে। কিন্তু সে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন ওই কিশোরীকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে বাঁশঝাড়ে রুবেলের জুতা, আন্ডারওয়ার ও কিশোরীর জামা খুঁজে পায় তারা। কিন্তু কিশোরীকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরদিন সকালে পরিবারের লোকজন টয়লেটে গিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় কিশোরীকে খুঁজে পায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে তেঁতুলিয়া থানায় রুবেলকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেঁতুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক আমজাদ আলী মন্ডল বলেন, ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আমলি আদালতের বিচারকের নিকট জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য হাজির করা হবে। আসামিকে গ্রেপ্তারে প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া হচ্ছে।