× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

স্থগিত হওয়া সিরিজ আয়োজনের সুযোগ খুঁজছে বিসিবি

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৮ জুলাই ২০২০, বুধবার

অনেক নাটকীয়তার পর এই বছরের শুরুতে ৩ থাপে পাকিস্তান সফর শুরু করে বাংলাদেশ দল। প্রথম দুই দফা সফর কাটে ভালোভাবেই। কিন্তু তৃতীয় থাপে এসে স্থগিত হয়ে যায় সফরের এক মাত্র ওয়ানডে ও  টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি। এপ্রিলের শুরুতে শেষ দফায় সফরটি বাতিলের কারণ পাকিস্তানে ভয়ারূপে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস। টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের এই  সিরিজের প্রথম ম্যাচ টাইগাররা হার দিয়ে শুরু করেছিল। ১৬ মার্চ সফরটি স্থগিত হওয়াতে সিরিজটির ভাগ্য ঝুলে আছে দুই দেশের বোর্ডের নতুন সিদ্বান্তের উপর। শুধুকি তাই এরপর টাইগারদের আয়ার‌্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ গুলো স্থগিত হয়ে যায়। যেখানে লঙ্কানদের বিপক্ষে জুন-জুলাইয়ে খেলার কথা ছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের গুরুত্বপূর্ন সিরিজটি।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হওয়াতে এই সফরের ভাগ্য এখন অনিশ্চিত। যদিও জানা গেছে পরিস্থিতি ভালো হলে স্থগিত হওয়া সিরিজ গুলো পুনরায় আয়োজনের সুযোগ খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘যে পরিস্থিতি তাতে সিরিজ আয়োজন করার বা সফরে যাওয়ার কোন সুযোগ ছিলনা। তবে আমরা আশা ছাড়িনি। যেহেতু কোন দেশেই খেলতে পারেনি তাই পুরানো সিরিজ গুলো আবারো যেন আয়োজন করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। বলতে পারে কাজও শুরু হয়েছে। তবে সবই সময়ের ব্যাপার।’
করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে মাঠে ক্রিকেট ফিরতে ফিরতে হয়তো আরো দুই মাস লেগে যেতে পারে। এরপর এশিয়া কাপ ও  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা এখনো নাকচ হয়ে যায়নি। যদি এই দুটি টুর্নামেন্ট হয় তাহলে আগষ্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলার কোন সুযোগ থাকবেনা টাইগারদের। সেই হিসেবে ২০২১ এ বিসিবিকে স্থগিত হওয়া সিরিজ গুলো আয়োজনের কথা ভাবতে হবে। আকরাম খান বলেন, ‘আপনারা জানেন ক্রিকেট বিশ্বে ফিক্সার বা এফটিপি অনুসরণ করা হয়া যা এরই মধ্যে ২০২৩ পর্যন্ত নির্ধারণ হয়ে আছে। তাই  সামনে যে আসর গুলো আসবে সে গুলোর ফাঁকে ফাঁকেই আমাদের পুরানো সিরিজ গুলো আয়োজন করার সুযোগ নিতে হবে। এই জন্য আমরা বোর্ড গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে রাখছি। পরিস্থিতি ঠিক হলে সেই আলোচনা আরো আগ্রসর হবে। তবে স্থগিত হওয়া সব গুলো সিরিজ আয়োজন হওয়তো সম্ভব হবেনা। আমরা যেষ্টা করবো যে গুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ন সে গুলো আয়োজনের।’
স্থগিত হওয়া সিরিজের মধ্যে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের মিশন। তাই এই দুটি গুরুত্ব বেশি পাবে বলেই জানিয়েছেন আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের খেলা ম্যাচ গুলো ফের আয়োজন আমাদের জন্য প্রধান বিষয় থাকবে। তার আগে আমাদের মাঠে ফিরে নিজেদের প্রস্তুতও করতে হবে। সব মিলিয়ে সময়ের অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কিছু নেই। আর শুধু যে আমরা চাইলেই হবে তা নয় স্থগিত হওয়া সিরিজ গুলো আয়োজন করতে অন্য দেশেরও ইচ্ছার প্রয়োজন হবে। আমরা কাজ করছি যেন আয়োজন করা যায়।ৃ’
অন্যদিকে ক্রিকেটাররা ৩ মাস ধরে মাঠের বাইরে। এরই মধ্যে অনেক ক্রিকেটারই চাইছেননা এই ভাবে আর বাড়িতে বন্দি থাকতে। মাঠে ফিরতে তারা করোনা ভাইরাসের ভয়কেও এখন তোয়াক্কা করছেননা। বিসিবিও চাইছে যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে। তবে তার জন্য কোন ঝুঁকি নিতেও রাজি নয়। আকরাম খান বলেন, ‘অবশ্যই আমরাও চাই ক্রিকেটাররা মাঠে ফিরুক। তবে কোন ধরনের ঝুঁকি আমরা নিবোনা। পরিস্থিতি ভালো হলেও মাঠে আমরা খেলা ফেরাতে পারবো। ক্রিকেটারদের মাঠে এসে অনুশীলন করার সুযোগ দিতে পারবো। ঝুঁকি থাকলে আমরা দিবোনা এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। যদি এই মাসে পরিস্থিতি ভালো হয় তাহলে অনুশীলন করবে। মাঠে ক্রিকেট ফিরবে। আর না হলে আরো অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আমাদের কাছে আগে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য নিরাপত্ততা এরপর ক্রিকেট।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর