দেশজুড়ে চলছে আনলক - টু পর্ব। কিন্তু সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে করোনা - টেস্ট আরও বাড়ানোর জন্যে। পশ্চিমবঙ্গ এক কাঠি এগিয়ে খেলেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে কন্টেনমেন্ট জোনে চালু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যেই এই বিধি পালিত হবে। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে নবান্নে খবর আসে যে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে আটশো জন। মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে তেইশ হাজার আটশো সাইতিরিশ।
মঙ্গলবারই মারা যান পঁচিশ জন। বেশিরভাগই কলকাতার। মোট মৃত আটশো চার জন। প্রশাসন আর দেরি করেনি। রাজ্যের সব কন্টেনমেন্ট জোনে বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন জারি করে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। তাতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কন্টেনমেন্ট জোনে অত্যাবশকীয় পণ্য ছাড়া সব দোকানপাট, বাজার বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সরকারি - বেসরকারি অফিস। কন্টেনমেন্ট জোনে কোনও যানবাহন চলবে না। বাইরের অফিসেও কেউ যেতে পারবেন না। প্রয়োজনে পুলিশ বাড়িতে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা পৌঁছে দেবে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকেই এই নিয়ম চালু হলেও কবে তা শেষ হবে তা অবস্থা দেখে ঠিক করবে পুলিশ – প্রশাসন। ভবানীপুর, উল্টোডাঙা, ফুলবাগান বেলেঘাটা, ফুলবাগান কাঁকুড়গাছি হাডকো, বিজয়গড় যাদবপুর, নিউ আলিপুর, কসবা, মুকুন্দপুরের কিছু অংশ কন্টেনমেন্ট জোনে পড়ছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশিত হবে আজ বুধবার। এ ছাড়াও উত্তর চব্বিশ পরগনার একশো তেইশটি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একশো পঞ্চান্নটি, হাওড়ার একশো ছেচল্লিশটি, বিধাননগরের আঠারোটি ও এন কে ডি এর তিনটি কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।