গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা পুলিশ গতকাল রাতে উপজেলার বংশীপুর গ্রামের লতিফ গাজীর বাড়ি থেকে আনুমানিক ৭ লাখ টাকা দামের ১৩টি ভারতীয় চোরাই গরু আটক করেছে। এসময়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী লতিফ ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় মামলা হয়েছে। থানার এসআই খবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি জানান, সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র ভারতীয় গরু সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে
ট্রলার যোগে লতিফ গাজীর বাড়িতে নিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লতিফ গাজীর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে এ গরুগুলো আটক করা হয়। সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলে গড়ে ওঠা একটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে নদী পথে ট্রলারে করে ভারতীয় গরু পাচার করে আসছে। চিহ্নিত ওই
পাচারকারী চক্রটি বারবার প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে গরু সহ অন্যান্য ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ পন্য দেশে এনে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে। আসন্ন কুরবানী ঈদ উপলক্ষে ভারতীয় গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাতে দেশীয় গরু খামারিরা লাভবান হয়। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে ওই চক্রটি ভারতীয় গরু নিয়ে আসছে। স্থানীয় সুধী সমাজ পাচারকারী চক্রটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন। শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব নাজমুল হুদা ঘটনা
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।