× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভুটানে ই-জিপির কাজ করবে বাংলাদেশের দোহাটেক

অনলাইন

অনলাইন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুলাই ৮, ২০২০, বুধবার, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

ভুটানে এবার ন্যাশনাল ইলেক্ট্রনিক গর্ভনমেন্ট প্রকিউরমিন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের দ্বিতীয় ধাপের কাজ পেয়েছে বাংলাদেশি সফটওয়ার কোম্পানি দোহাটেক নিউ মিডিয়া। গত মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী থিম্পুতে এ সেবার উদ্বোধন করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ল্যেনপো ন্যামগে টিশ্যারিং। এ সময় ভুটানের ই-জিপির পরিচালক কেস্যাং ডেমি তার দেশের সকল স্টোকহোল্ডারদের জন্য এ সিস্টেমের উপকারিতা ও সুবিধাগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি গুরুত্ব সহকারে এ সংস্কার প্রক্রিয়ায় যেসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন তাও তুলে ধরেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়ার উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান লুনা শামুসদ্দোহা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে ই-জিপি সিস্টেমের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

দোহাটেক নিউ মিডিয়া মূলত: তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সফটওয়ার প্রতিষ্ঠান। যা এতদিন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেনাকাটা ও ভেন্ডর হিসেবে কাজ করে আসছিলো।
এখন থেকে ভুটান সরকারের ই-জিপি সিস্টেমেও কাজ করবে এ কোম্পানি। সিস্টেমটি ভুটানে আইটি খাতকে কাজে লাগিয়ে সরকারি কাজের পরিধিকে আরো বিস্তৃত করবে।

ই-জিপিতে প্রায় সবধরনের ইলেক্ট্রনিক আহরণ মডিউলগুলো সিস্টেমে রয়েছে। এ সফটওয়্যারটি অনলাইনে নিলাম আহ্বান থেকে শুরু করে পরিপূর্ণভাবে নিলামের মূল্যায়ন করতে পারবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রথম ভুটানে ই-জিপি যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই এর বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে আসছে দেশটির জনসাধারণ। এর আগেও নেপালেও ই-জেপি সিস্টেমে চালুর সময়ও  চালু হয়।  বাংলাদেশ সরকারের পাবলিক প্রকিউরমেন্ট এমআইএস এবং ই-জিপি সিস্টেমের বাস্তবায়নে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। ১৯৯২ সালে পল্টন লেনে মাত্র দু’জন কর্মী নিয়ে দোহাটেকের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে শত শত মেধাবী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন।

শুরুতে কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করে দোহাটেক। এক সময় ডব্লিউএইচও, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের হয়েও এই কাজটি করে তারা। বর্তমানে তাদের কর্মপরিধি প্রসারিত হয়েছে আমেরিকা, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্স তৈরির ক্ষেত্রে দোহাটেক অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারাই ভোটার এনরোলমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করে, যে ধারাবাহিকতায় সবার জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরির বিশাল কর্মযজ্ঞ এ দেশে সম্ভব হয়েছে। ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপিতেও দোহাটেকের অবদান অসামান্য।

বাংলাদেশ সরকারের এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন ফর দ্য পুওরেস্ট (ই-জিপিপি) প্রকল্পের এমআইএস সিস্টেমেও দোহাটেকের অবদান রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর