× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে মিললো এডিসের লার্ভা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৮ জুলাই ২০২০, বুধবার

চতুর্থ পর্যায়ে অভিযানেও নগরীর কয়েকটি এলাকায় এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সিলেট সিটি করপোরেশনের বছরব্যাপি কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বিশেষ অভিযানে এডিস মশার উৎসস্থলগুলো চিহ্নিতকরণ ও ধ্বংস করা। বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ডে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট ক্বীট তত্ত্ববীদের সহায়তায় সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করে। ২, ১৭ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষ এই অভিযানে সম্ভ্যাব্য এডিস মশার উৎসস্থল সমূহ পরিদর্শন করা হয়। ২ নম্বর ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি নির্মানাধিন ভবন, ভবনের ছাদ, ছাদ বাগান পরিদর্শন করা হয়। তবে কোথাও লার্ভার সন্ধান মেলেনি। তবে, অপরিচ্ছন্ন ও ঝোপ-ঝাড়ে মশক নিধনে ফগার মেশিন দ্বারা ঔষধ দেয়া হয়।
এদিকে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন ভার্থখলা এলাকার সেনেটারী দোকান গুলোতে এবারও এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
খোলা স্থানে রাখা সেনেটারী পন্যে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে লার্ভা পাওয়া যায়। চিহ্নিত এসব স্থানে লার্ভা ধ্বংসকারী ঔষধ ছিটানো হয়। সংশ্লিষ্ট দোকান মালিকদের আবারও সচেতন হবার পরামর্শও দেয়া হয়। খোলা স্থান থেকে প্লাস্টিক বা সিরামিকের পন্য সামগ্রী সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানানো হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন।  তিনি বলেন, সিলেট নগরীর এই একটি স্থানেই গতবছরও এডিস মশার লার্ভার অস্থিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। এবারও কয়েক দফা তাদের সচেতন ও সতর্ক করা হয়। কিন্তুখোলা স্থান থেকে তাদের পন্য সরিয়ে নিচ্ছেন না। ফলে বৃষ্টির পরিস্কার পানি জমছে প্লাস্টিক ও সিরামিকের পন্যে। উৎপন্ন হচ্ছে এডিস মশা।
ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরন, ডিজিটাল প্রচারণার পাশাপাশি বিশেষ অভিযান পরিচালনার পরও একই স্থানে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া উদ্বেগজনক। সম্ভাব্য উৎস স্থলে ২ থেকে ৩ দিনের বেশি সময় স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে দেবেন না। কোথাও এডিস মশার উৎস চিহ্নিত হলে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি। বাসা-বাড়ি, পরিত্যক্ত ভবন, ভবনের ছাদ, ফুলের টব বা বালতি, সিরামিক পন্য, টায়ার-টিউব কিংবা ভবনের যেসব স্থানে পরিস্কার পানি জমে থাকতে পারে, সেসব স্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর