বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) যোগ দেয়ার পর নেইমারকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। সমালোচকদের তালিকায় ছিলেন তার স্বদেশিরাও। এবার ব্রাজিলের আরেক সাবেক ফুটবলার জুনিনহো পারনামবুকানো সমালোচনা করলেন নেইমারের।
১৯৯৯-২০০৬ পর্যন্ত ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ৪০ ম্যাচ খেলা জুনিনহো মনে করেন, তার দেশের অন্যান্য ফুটবলারদেরও ‘লোভী’ মানসিকতায় গড়ে তোলা হয়। ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁওর এই সাবেক মিডফিল্ডার বৃটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ব্রাজিলে টাকাকে গুরুত্ব দিতে শেখানো হয় আমাদের। কিন্তু ইউরোপের ফুটবলারদের মানসিকতা ভিন্ন। আর এভাবে অবচেতনে আমার মনে একটা ক্যারিয়ার প্ল্যান তৈরি হয়ে যায় যে আমি ব্রাজিলের বড় ক্লাবে যাবো। এখানে খেলার উদ্দেশ্যটা মুখ্য নয়। আমাকেও শেখানো হয়েছিল- যারা বেশি টাকা দেবে তুমি তাদের কাছে যাবে।
ব্রাজিলিয়ান সিস্টেমটাই আসলে এমন।’
এরপরই নেইমারের প্রসঙ্গ টানেন জুনিনহো। ২০১৭ সালে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিলেন এই ফুটবল সেনসেশন। জুনিনহো মনে করেন, এ দলবদলে নেইমারের আর্থিক স্বার্থই প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘নেইমারকে দেখুন। সে পিএসজিতে গিয়েছে কেবল টাকার জন্য। সে যা চেয়েছে পিএসজি সব দিয়েছে। এখন সে কিনা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্লাবটি ছাড়তে চাইছে।’
পিএসজিতে নেইমার যে অসুখী সেটা কারোর অজানা নয়। সাবেক ক্লাব বার্সেলোনায় ফেরার কম চেষ্টা করেননি তিনি। জুনিনহো মনে করেন, তার স্বদেশি ফুটবলারের উচিত পিএসজিতেই মনযোগ দেয়া, ‘এখনই সময় পিএসজিকে নেইমারের প্রতিদান দেয়ার। এটা একটা বিনিময়। মাঠে নিজের সবটুকু দিতে হবে নেইমারকে। নিজের নিবেদন, দায়িত্বশীলতা এবং নেতৃত্ব দেখাতে হবে। সমস্যা হলো ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সংস্কৃতিতে খেলোয়াড়রা গড়ে উঠে লোভী হয়ে। তারা কেবল টাকা চায়।’ যদিও খেলোয়াড় নেইমারের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই জুনিনহোর, তবে ব্যক্তি নেইমারের ম্যাচুরিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সে বিশ্বসেরা তিনজনের একজন। মেসি-রোনালদোর কাতারেই। একজন সত্যিকারের নাম্বার ১০ হওয়ার সব গুণাবলীই আছে তার মাঝে। কিন্তু ব্যক্তি নেইমারের সমস্যা আছে। তবে এই মুহূর্তে সে শিক্ষানবিশের কাতারে আছে। জীবন তাকে যা শিক্ষা দিচ্ছে, সেগুলো গ্রহণ করছে।’