জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটতরাজের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (৫ই জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর নতুন শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে একইভাবে বসতবাড়িতে ঢুকে গবাদি পশুসহ অন্তত অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটতরাজ করার অভিযোগও করা হয় ভুক্তভোগীদের তরফ থেকে। জানা গেছে, নাপিতেরচর নতুন শাহপাড়া গ্রামের দুলাল, ফুলু মিয়া, হাইবর, হুজুর আলী গংরা সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে অন্যত্র আত্মগোপন করে আসছে। এ সুযোগে তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায় কুচক্রী মহল। এর আগে গত ২৫শে এপ্রিল গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী মালপাড়া গ্রামের কুচক্রী মহল গণহারে তাদের বসতবাড়িতে ঢুকে গবাদি পশুসহ অন্তত অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুট করেছে মর্মে অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগী ফুলু মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, ‘আমাদের থাকার ঘরের বেড়া পর্যন্তও খুলে নিয়ে গেছে। আমাদের আবাদি ইরি ধান কাটতে দেয়া হয়নি।
পাট ক্ষেতও দখল করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে পার্শ্ববর্তী মালপাড়া গ্রামে মোশাররফের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত লোকের একটি দল দেশীয় অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার গোয়াল ঘর থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার মূল্যের ৬টি গরু নিয়ে গেছে। এছাড়া ২০ মণ শুকনা মরিচ, ৫ মণ গম, ৫ মণ সরিষা নিয়ে যায়। দুলাল মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, ‘আমাদের প্রায় ৪ লাখ টাকার মূল্যের ৪টি গরু নিয়েছে।’ এছাড়া সফি মিয়ার ৩টি ছাগল, ১টি ফ্রিজ, বাবুল মিয়ার আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু, রফিক মিয়ার সোয়া লাখ টাকা মূল্যের গাভী ও বাছুর, হাইবর মিয়ার ৩টি গরু নিয়েছে। ভুক্তভোগী ফুলু মিয়ার মেয়ে ফুলেরানী জানায়, ‘লুটতরাজের বিষয়ে আমি বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’ ইসলামপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমি এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।’