× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সীতাকুণ্ড-মান্দারীটোলা সড়কের বেহালদশা

বাংলারজমিন

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড মান্দারীটোলা সি সড়কের বেহাল অবস্থা দুর্ভোগে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পিচ খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খনাখন্দ সামন্য বৃষ্টিতেই জমে যাই পানি। সড়কের উপর দিয়ে হেলে দুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পশ্চিম দিকে প্রায় ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কের এই বেহালদশা। সীতাকুণ্ড উপজেলার সবচেয়ে বড় গ্রাম হিসাবে পরিচিত এই মান্দারীটোলা গ্রামটি। ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এ সড়কে এমন বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা। এতে করে রাস্তায় চলাচলকারী প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা এবং প্রায় ১০টি গ্যাস ফ্যাক্টরির বড়-বড় কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৪-৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে আসছে। গতকাল সরজমিনে দেখা গেছে সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে, সড়কটি মহাসড়ক থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার জুড়ে উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। এই সড়কটিতে বড়-বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। পথচারীদের জিজ্ঞাসা করলে গ্যাস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন এমন কয়েকজন  বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। পথচারী রুবেল বলেন, এই সড়ক দিয়ে আমি প্রতিদিন যাতায়াত করি। তিনি আরো বলেন চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন সড়কটি দিয়ে। সড়কটির বেহালদশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মান্দারীটোলা গ্রামের অটোরিকশা চালক হারুনুর রুশিদ বলেন, ছোট যানবাহন এবং বি.এম এনার্জি, জেমাই, ইউনি গ্যাস, ইউরো, ইউনিবার্সেল গ্যস ফ্যাক্টরির বড়-বড় জানবাহন প্রায়ই উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। এই গ্যাস ফ্যাক্টরিগুলো নির্মিত হওয়ার পর থেকে রাস্তাটির অবস্থা করুণ হতে চলেছে। অন্তঃসত্ত্বা ও অসুস্থ মনুষের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। ৫ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে আধাঘণ্টা অথবা তার চেয়েও বেশি। কাভার্ডভ্যান চালক বেলাল উদ্দিন বলেন, গত ১০ বছর যাবত এ সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে মালামাল নিয়ে আসি কিন্তু সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে থাকায় গাড়ি চলে হেলেদুলে, খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দুস্কর হয়ে যায়, আবার উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাদাকাতুল্লাহ মিয়াজী মানবজমিনকে জানান শুনেছি সড়কটির টেন্ডার হয়েছে বর্ষার পর কাজ শুরু করা হবে। এখন কিন্তু মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর