মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার রেষ ধরে চাচা জসিম উদ্দিন রাজু (৩২) ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে শিশু মেহরাব (৩)কে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে হাজীপাড়ার জলিল ম্যানসন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের সাথেও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন রাজু। বুধবার ভোর ৫ টার দিকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জহির হোসেন। তিনি জানান, ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার জোড় ডেবার পূর্ব পাড়ে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় থানার ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি কার্তুজ, একটি ছুরি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি (তদন্ত) জহির হোসেন আরো জানান, মঙ্গলবার রাতে হাজীপাড়ার জলিল ম্যানসন বাড়িতে আসামি জসিম উদ্দিন রাজুর সাথে তার ছোট ভাই রাশেদের বউ নিলু আকতারের ঝগড়া হয়।
এসময় রাজু আপন ভাতিজা শিশু মেহরাবকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২টার দিকে শিশু মেহরাবের লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এরপর রাজুকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে বুধবার ভোরের দিকে ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ার জোড় ডেবার পূর্ব পাড়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে রাজু নিহত হয় । নিহত রাজু নগরীর হাজীপাড়া এলাকার মৃত মনির আহমেদের ছেলে।
ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ বলেন, নিহত রাজু একজন পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে পুলিশ সদস্য খুন-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা আছে। ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি জসিম ও তার সহযোগীরা মিলে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় সিএমপির পুলিশ সদস্য নায়েক ফরিদউদ্দিনকে ছুরিকাঘাতে খুন করে। ২০১৮ সালের ১৪ মে নগরীর হাজীপাড়া এলাকার খোরশেদ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনে বেরিয়ে জসিম আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।