× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তে টালবাহানা তদন্ত কমিটির

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে। নানা অজুহাতে তদন্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে না তদন্ত কমিটি। এক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের কথা চাউর হয়েছে। চেয়ারম্যান আবু মুছার বিরুদ্ধে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের গৃহীত ৪০ দিনের কর্মসূচির টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ দেয়া হয় গত ২রা জুন জেলা প্রশাসকের কাছে। কর্মসূচিভুক্ত ৫ শ্রমিক জাফরপুর গ্রামের আলাউদ্দিন, আক্তার, রেজাউল করিম, আবুল হোসেন এবং এরশাদ এই অভিযোগটি দেন। জেলা প্রশাসক এই অভিযোগের তদন্ত করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ৯ই জুন চিঠি দেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। এরপর পেরিয়েছে প্রায় একমাস। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি আজ পর্যন্ত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু মাসুদকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেন। এর অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর। অভিযোগ মিলেছে এই তদন্ত কমিটি অভিযোগকারীদের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে ২১শে জুন ইউনিয়ন পরিষদে যান তদন্ত করতে। সেখানে গিয়ে তদন্ত কমিটি তাদের ডেকে পাঠান। চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী দলবলসহ কয়েক শ’ লোক নিয়ে তদন্তস্থলে অবস্থান নেয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় তদন্ত কমিটির সামনে আসতে পারেননি অভিযোগকারীরা। পরে ২৩শে জুন গ্রামের সুফিয়াবাদ শাহ সূফি সাইয়্যেদ আজমত উল্লাহ (রহ.) সিনিয়র মাদ্রাসায় তদন্তের স্থান নির্ধারণ করে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু গত ১৬ দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু মাসুদ জানান, সম্ভবত ১৬ই জুন তাদের তদন্ত কমিটি করা হয়। ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিলো। জুন ক্লোজিং এবং অফিসে কর্মচারীরা না থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেন নি। চেয়ারম্যান আবু মুছার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগে বলা হয় হতদরিদ্রদের সহায়তায় সরকার টাকা দেবে বলে অভিযোগকারী ৫ জন সহ ৯৪ জনের  নামে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ইব্রাহিমপুর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় হিসাব খোলা হয়। গত ৬ই এপ্রিল তাদের প্রত্যেকের হিসাবে ৮ হাজার টাকা করে জমা হয়। যার মেসেজ আসে তাদের মোবাইলে। পরদিন সকালে চেয়ারম্যান ব্যাংক কর্মচারীসহ তাদের বাড়িতে এসে মেশিনে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে যান এবং কয়েকদিনের মধ্যে টাকা পাওয়ার আশ্বাস দেন। আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর ওইদিনই টাকা উত্তোলন হয়েছে বলে তাদের মোবাইলে মেসেজ আসে। কিন্তু তারা টাকা পাননি। টাকা চাইতে গিয়ে উল্টো চেয়ারম্যানের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন। এভাবে গত ৪ বছর ধরে চেয়ারম্যান হতদরিদ্রদের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। কর্মসূচির তালিকায় চেয়ারম্যান তার কয়েকজন স্বজনের নাম দিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। এই স্বজনরা হচ্ছেন চেয়ারম্যানের আপন চাচাতো ভাই দুবাই প্রবাসী হাবিবুর রহমান লিটনের স্ত্রী বিউটি আক্তার, ইরাকে কর্মরত মো. দেলোয়ার হোসেন, ওমানে কর্মরত মো. আল-আমীন। কর্মসূচিভুক্ত একজন শ্রমিক প্রতিদিন ২০০ টাকা করে পান। এ হিসাবে ৪০ দিনে একজনের মোট পাওনা হয় ৮ হাজার টাকা। নভেম্বর ও ডিসেম্বর এবং এপ্রিল ও মে মাসে এই কর্মসূচি চালু হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর