× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিরাজদিখানে রাস্তা সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

বাংলারজমিন

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

সিরাজদিখানের জৈনসার ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তার সংস্কারে অনিয়ম ও   সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম ঢালীর বিরুদ্ধে। চলতি বছরের শুরুতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় রাস্তার কাজ শুরু করে প্রকল্পের সভাপতি মোয়াজ্জেম ঢালী। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কাজ হলেও তিনি সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা  না করেই ড্রেজার ও ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ সম্পন্ন করেন।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রকল্প অফিস সূত্রে  জানা যায়, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাঁঠালতলী বাবুলের বাড়ি হইতে কাঁঠালতলী পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি পর্যন্ত কবরস্থানের রাস্তাটি মেরামতের জন্য সরকারিভাবে হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ০৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও ওই প্রকেল্পর সভাপতি ঢালী গ্রামবাসীদের জানান- ওই প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দ বাতিল হয়ে গেছে। তাই এলাকা থেকে চাঁদা তুলে প্রকল্পের কাজ করতে হবে। তার কথা বিশ্বাস করে এবং রাস্তার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে কাঁঠালতলী গ্রমের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে ৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা চাঁদা তুলে মো. মোয়াজ্জেম ঢালী এবং তার অনুমতিক্রমে চাচা আবু তৌহিদের হাতে স্থানীয় মুরব্বিদের উপস্থিতিতে প্রদান করা হয়। কিন্তু ইউপি সদস্য সরকারি বরাদ্দ এবং উত্তোলনকৃত চাঁদার ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করেছে বলে যানায়।
এছাড়া রাস্তা মেরামতের জন্য ড্রেজারের মাধ্যমে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার ফুট মাটি পাশের তিনটি পুকুর খনন করে ব্যবহার করা হয় এবং মাত্র ৪০ ঘণ্টার চুক্তিতে ভেকু দ্বারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ শেষ করা হয়। যাতে খরচ হয় ২ লাখ টাকারও কম।
ওই গ্রামের আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ নাজিম, শামিম শিকদার, শাহ্‌ আলম মৃধা, এমদাদুল হক পলাশসহ অনেকে অভিযোগ করেন, আমাদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছে মেম্বার। আমরা সবাই মিলে রাস্তার জন্য টাকা দিয়েছি। তারা আরো বলেন, আমরা জানতে পেরেছি রাস্তা নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ এসেছে। যদি সরকারি টাকা এসে থাকে তবে আমাদের টাকা নেয়ার কারণ খতিয়ে দেখে এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম ঢালী বলেন, প্রকল্পের টাকায় রাস্তার কাজ হয়েছে। আর ড্রেজার দিয়ে দিয়ে খাল ভরাট করা হয়েছে যার টাকা এলাকার লোকজন দিয়েছে। আমি এলাকার কারো টাকা নেইনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আমরা সোখানে প্রকল্প দিয়েছি তার কাজ সঠিকভাবে শেষও হয়েছে। তবে অনিয়ম বা দুর্নীতির ব্যাপারে আমাদের কাছে  কোন অভিযোগ আসেনি। অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর