বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের উন্নয়নে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন দিল্লির বিদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বিষয়টির উল্লেখ করেন। বুধবার সেগুনবাগিচায় প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠির বিষয়টি প্রকাশ পায়। তবে চিঠিটি কবে, কোন্ প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে তার কোনো উল্লেখ ছিল না মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে এই বিষয়টি ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দিল্লির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত এবং করোনাকালে ঢাকাকে সর্বোতভাবে সহায়তার উল্লেখ ছিল। সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির টাইটেল ছিল ‘রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত প্রত্যাবাসনের পক্ষে ভারত’।
বিস্তারিত বর্ণনায় বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিবেশী হিসেবে ভারত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনেই সকলের মঙ্গল নিহিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনকে সমপ্রতি লেখা এক পত্রে ড. এস জয়শংকর মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ ছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন ড. এস জয়শংকর।