× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাঙ্গলকোটে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, আটক ২

বাংলারজমিন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
৮ জুলাই ২০২০, বুধবার

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসদরের নাঙ্গলকোট-মাহিনী সড়কের তুলাপুকুরিয়া এলাকায় স্থানীয় বিল্লালের মালিকানাধীন ঘরে সোমবার দিবাগত রাতে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ৬ যুবক।

ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের মন্তলী গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাইমুন (২০), একই ইউনিয়নের শ্যামিরখিল গ্রামের মৎস চাষী আব্দুল মান্নানের ছেলে ফয়সাল (২১), মৌকারা ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের রাসেল (২০), পৌরসভার মান্দ্রা গ্রামের রুবেল (২৩), জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে শিবলু (২২) ও মক্রপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে রাসেল (১৯)।

অভিযুক্তদের মধ্যে মক্রবপুর গ্রামের রাসেল ও জোড়পুকুরিয়া গ্রামের শিবলুকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা কিশোরী বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্যামির খিল গ্রামের মৎস চাষী আব্দুল মান্নানের ছেলে ফয়সালের সাথে ধর্ষিতা কিশোরীর ৬ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরই মাঝে তার সম্পর্কের বিষয়টি ধর্ষিতার বড় বোন জানতে পেরে ওই কিশোরীকে শাসন করার চেষ্টা করে। পরে বোনের সাথে বাকবিতন্ডা করে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমিক ফয়সালের সাথে গত বৃহস্পতিবার ফয়সালের চাচাত বোন মুক্তার ঢাকর বাসায় গিয়ে অবস্থান করে। ফয়সাল ওই কিশোরীকে ঢাকায় রেখে চলে আসে।
পরে গত সোমবার মুক্তার ঢাকার বাসা থেকে ফয়সালের সাথে ফোনে কথা বলে এনা পরিবহনে করে বিকেলে জেলার চৌদ্দগ্রাম বাজারে আসে। চৌদ্দগ্রাম থেকে ফয়সালের বন্ধু মান্দ্রার রুবেল ও তেতৈয়ার রাসেল ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে স্থানীয় বাঙ্গড্ডা বাজারের থ্রীস্টার রেস্টুরেন্টে আসে। সেখানে মক্রবপুরের রাসেল, জোড়পুকুরিয়ার শিবলু, মন্তলীর সাইমুন ও ফয়সাল একত্রিত হয়ে নাঙ্গলকোটের তুলাপুকুরিয়া বিল্লালের মালিকানাধীন দোকানে এনে পালাক্রমে সবাই মিলে ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে ৪ ধর্ষক পালিয়ে যায়। এসময় শিবলু ও মক্রপুরের রাসেলকে আটক করে পুলিশ।

নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর বলেন, আটককৃত ২ আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর