পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন নিজের বক্তব্যের সংশোধনী দিয়ে বলেছেন, এমপি শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের নাগরিক নন, দেশটিতে তার রেসিডেন্ট পারমিট থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলামের বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রকাশিত সংবাদের ভুল সংশোধন শীর্ষক ওই বার্তাটি ছিল এমন 'কয়েকটি পত্রিকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, 'পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন, লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম (পাপুল) কুয়েতের নাগরিক।' পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ শহিদ ইসলামকে কুয়েতের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন, মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের কোনো ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েতে যাননি এবং তিনি প্রায় ২৯/৩০ বছর কুয়েতে ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন। তার হয়তো কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিট আছে।'
উল্লেখ্য, ৭ই জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দপ্তরের সরবরাহ করা ভিডিও বার্তার বরাতে 'এমপি নয়, কুয়েতের বাসিন্দা হিসাবে পাপুল গ্রেফতার হয়েছেন!' শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করে মানবজমিন। সঙ্গে ভিডিও বার্তাটি হুবহু (আনকাট) প্রচার করা হয়। অন্যান্য গণমাধ্যমেও এটি ব্যাপক প্রচার পায়। ওই বার্তাটি আগের দিন নিজ দপ্তরে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারের অংশ বিশেষ ছিলো। যেখানে পাপুলকাণ্ড সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. মোমেন বলেছিলেন, এমপি পাপুল কুয়েতে সরকারি পাসপোর্ট (কূটনৈতিক পাসপোর্ট) নিয়ে যাননি।
কুয়েতে তিনি ৩০ বছর ধরে ব্যবসা করেন। ওইখানকার কোম্পানির সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে দেশের লোকাল রেসিডেন্ট বাংলাদেশের এ সাংসদকে তারা সে দেশটির একজন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে।"