× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কালীগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

বাংলারজমিন

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
৯ জুলাই ২০২০, বৃহস্পতিবার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্ববালিয়াডাঙ্গা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ভিকটিম ওই গৃহবধুর কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। গত বুধবার ভিকটিম নিজেই কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শাহাজান আলীর পুত্র সাঈদ হোসেন, আব্দুল লতিফের পুত্র আলী হোসেন, আব্দুর রহিমের পুত্র জুয়েল, আল আমিন সহ ৫/৭ জন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধুকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিতো।
ভিকটিম মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদকে জানান, স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন। গত ৫/৬ মাস ধরে সাঈদ হোসেন নামের একজন আমার মোবাইলে ফোন দিতো। বিভিন্ন সময় ফোনে উত্ত্যক্ত করতো এবং ফোন দেওয়ার বিষয়ে কারও কাছে বললে আমাকে ও আমার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিতো। আমি ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি।
বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে কুপ্রস্তাব দিতো। এরপর ৩০ জুন মঙ্গলবার ঘটনার দিন রাতে সাঈদ ফোন দিয়ে আমাকে ঘরের বাইরে আসতে বলে। দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকবে বলে হুমকি দিতে থাকে। মানসম্মানের ভয়ে তিনি ঘরের দরজা খুলে বাইরে আসতেই তারা ৩/৪ জন আমকে ধরে বাড়ির পিছনের একটি আমাবাগানে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে তারা জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণ করে। এরপর তিনি বেহুশ হয়ে পড়লে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। ২/৩ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে আছেন দেখতে পান। এরপর তিনি আস্তে আস্তে উঠে বাড়ির দিকে চলে আসেন।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পরদিন সকালে আমি কাউকে কোন কিছু জানানোর আগেই তারা আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে শুরু করে। যেন আমি কাউকে কিছু না বলি। কাউকে কিছু বললে তারা আমার সন্তানের অনেক ক্ষতি করবে ও ধর্ষণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখাতে থাকে। আমি এই ভয়ে চুপ থাকি। ঘটনার দুইদিন পর তারা আমাকে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। নাহলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের কাছে থাকা ওই ভিডিও গ্রামের কয়েকজন কে দেখালে পরে বিষয়টি লোক জানাজানি হয়।  গত ৮ জুলাই কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর