দুই পর্দার গুণী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। মার্চের ২০ তারিখ থেকেই ঘরবন্দি হয়ে আছেন। এখনো শুটিংয়ে ফেরার কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। সর্বশেষ মার্চের ১৯ তারিখে একটি মুক্তিযুদ্ধের গল্পের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন বলে জানান তিনি। শুটিংয়ে ফিরছেন না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি এখনো নিরাপদ মনে করছি না। এই তো গতকাল মেহজাবিন-অপূর্ব শুটিং করে এখন কোয়ারেন্টিনে চলে গেছেন। আগে জীবন, তারপর অন্য সব। বেঁচে থাকলে অনেক কাজ করা যাবে। অনেকে শিডিউল চেয়েছেন। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখন শুটিংয়ে ফিরবো। লকডাউনের আগের ব্যস্ততা নিয়েও এই অভিনেতা কথা বলেন। বাবু বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে মূলত আমি সিনেমায় একটু বেশি সময় দিয়েছি। বলা যায়, টিভি নাটকের চেয়ে আমার ব্যস্ততা সিনেমায় বেশি এখন। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র শুটিংয়ের অপেক্ষায় আছে। পরিস্থিতি ভালো হলেই এই ছবিগুলোর কাজ শুরু হবে। বাবুর মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘বিশ্ব সুন্দরী’, ‘পাপ পূণ্য’, ‘লোনা জলের কাব্য’, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী’ ছবিগুলো। এছাড়া শুটিংয়ের অপেক্ষায় আছে ‘উড়াল’, ‘অর্জন-৭১’ ও ‘রাত জাগা ফুল’। টিভি পর্দায় প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত ‘ভদ্রপাড়া’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক। সাম্প্রতিক সময়ে টিভি শিল্পীদের কয়েকটি ওয়েব সিরিজের আপত্তিকর দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে বাবু বলেন, আমি নিজেও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করি। কয়েকদিন আগে ভারতের হৈচৈয়ের একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি। আমি ওয়েব সিরিজর বিপক্ষে না । আমাদের যে কয়েকটি ওয়েব সিরজ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে তার প্রধান কারণ হলো এগুলোর ভিন্ন ভাবে প্রকাশ। অ্যামাজন কিংবা নেটফ্লিক্সে টাকা দিয়ে মানুষ বিনোদন নেয়। যার খুশি সে নেবে। আমাদের সিরিজগুলো যে প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে এগুলো সেখানে সীমাবদ্ধ ছিলো না। এগুলো যখন ইউটিউবে আসে তখন সমালোচনা শুরু হয়। ইউটিউব ও অ্যামাজন-নেটফ্লিক্স কিন্তু এক না। সিরিজগুলো যদি ইউটিউবে না আসতো তাহলে এত সমালোচনা হতো না।