× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৬৫ মণের ‘বাংলার বস’ ৫০ লাখ

বাংলারজমিন

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০২০, শনিবার

গরু। ‘বাংলার বস’। দাম হাঁকিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি খামারি আসমত আলী গায়েনের। ব্যাপারিরা গরুর দাম ৩০ লাখ টাকা হাঁকালেও তিনি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান।
খামারি আসমত আলী গায়েন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামের মৃত রজব আলী গায়েনের পুত্র। এবারের কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বাংলার বস, বাংলার সম্রাট ইত্যাদি নামে গরু পালন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। গরু দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন। গত ২৫ বছর ধরে তিনি মীম ডেইরি ফার্ম নামে দুধের গাভী পালন করে আসছিলেন।
শখের বশে তিনটি উন্নত জাতের ষাঁড় গরু কিনে সুষম খাদ্য, উপযুক্ত চিকিৎসা, নিয়মিত পরিচর্যা করে সফল হয়েছেন। তার দাবি ‘বাংলার বস’ নামের গরুটির ওজন প্রায় ৬৫ মণ। অবশ্য গরু পালনে আকাশচুম্বী এ সফলতায় উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো সহায়তা পাননি বলে হাসমতের অভিযোগ। সরজমিনে হুরগাতি গ্রামে হাসমতের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষের ভিড় চোখে পড়ে। এগিয়ে যেতেই জানা যায় উৎসুক জনতা আসমতের গরু দেখতে এসেছেন। খামারি আসমত আলী গায়েন জানান, প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে শত শত লোক এ গরু দেখতে  তার বাড়িতে ভিড় করছেন। বাংলার বস নামের ষাঁড়টি বৃটিশ ফ্রিজিয়ান জাতের। গেল কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে যশোরের নিউ মার্কেট এলাকার হাইকোর্ট মোড়ের জনৈক মুকুলের কাছ থেকে বাংলার বস ১৭ লাখ টাকায় কিনেন। আর বাংলার সম্রাট কেনেন ৮ লাখ টাকায়। দানাদার ও লিকুইড খাদ্য হিসেবে খৈল, গম, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুষি, চিটাগুড়, ভিজানো চাল, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুড়া মিলে দিনে দুইবার মোট ৮০ থেকে ৯৫ কেজি খাদ্য খাওয়ানো হয়। এছাড়া তিনি প্রশিক্ষণ নেয়ায় নিজেই তার গরুর চিকিৎসা দেন। এ সময় আসমত আলী ‘বাংলার বস’ গরু নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তিনি নিশ্চিত দেশের মধ্যে এ যাবৎকালের মধ্যে সব থেকে বড় এবং এর ওজন এখন ২৬শ’ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৬৫ মণ। এ ওজনের গরু বা ষাঁড় এর আগে বাংলাদেশে কখনো হয়নি বলে তার দাবি। আসমত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ পর্যন্ত প্রাণিসম্পদ অফিসের কোন সহযোগিতা এমনকি কোনদিন তারা খামার পরিদর্শন করেনি। পার্শ্ববর্তী উপজেলা অভয়নগরের সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি তার এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে শুনে গরু দেখতে  সেছেন। এমন হাতির মতো গরু তার জীবনে কখনো দেখেননি। ভোজগাতি গ্রামের সালাম বিশ্বাস বলেন, তার ৮০ বছর বয়েসে এত বড় গরু দেখেননি। একই কথা জানান, গরু দেখতে আসা উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের শাহেরা বেগম, জয়পুর গ্রামের আকতার আলী। তবে, সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি খামার বড় করে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন বলে দাবি করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার আবুজার সিদ্দিকী বলেন, এমন বড় গরুর বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তিনি না যেতে পারলেও অফিসের লোকজনের সাথে খামারির নিয়মিত যোগাযোগ হয় বলে তিনি দাবি করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর