বাংলারজমিন

বিচ্ছিন্নের পথে সরাইল-অরূয়াইল সড়ক যোগাযোগ

কাজে আসেনি ১১ কোটি টাকার সংস্কার

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

২০২০-০৭-১১

২০১০ সালে হাওর বেষ্টিত অরূয়াইল-পাকশিমুল ও চুন্টা ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সরাইল-অরূয়াইল সড়কটি নির্মিত হয়েছে। সরাইল হাসপাতালের মোড় থেকে সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটারেরও বেশি। নির্মাণের পর কয়েক দফা সংস্কার কাজও হয়েছে। কাজে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় অনিয়মের প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ সড়কটির ১২ কিলোমিটার জায়গায় ৩ জন ঠিকাদার ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা খরচ করে সংস্কার কাজ করেছেন। এ কাজেও ছিল অনিয়মের অভিযোগ। বাকি রয়ে গেছে আরো ২.৪ কিলোমিটার। বর্ষার পানির তোড়ে সড়কের সেই অংশ এখন ভেঙে হাওরে বিলীন হচ্ছে। যেকোনো সময় সড়কটি হাওরে মিশে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে যাবে ভাটি এলাকার লক্ষাধিক লোকের সড়কে যাতায়াত। স্থানীয় এলজিইডি অফিস ও সরজমিনে জানা যায়, সরাইল সদরের হাসপাতাল মোড় থেকে অরূয়াইল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ অংশই হাওরে। ফলে বর্ষা মৌসমে সড়কের একপাশে পানির তোড়ের আঘাত লাগে। ২০১০ সালে সড়কটি নির্মাণের পর কয়েক দফা সংস্কার কাজ হয়েছে। কাজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে টেকসইয়ের বিষয়টি বারবারই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সর্বশেষ সড়কটি রক্ষার জন্য সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধার মাধ্যমে ভূঁইশ্বর বাজার থেকে পাকশিমুল নতুন কালভার্ট পর্যন্ত ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। ঠিকাদার দীর্ঘ সূত্রিতার মাধ্যমে ২-৩ বছর লাগিয়ে সম্প্রতি কাজটি শেষ করেছেন। এরপর আবার হাসপাতালের মোড় থেকে চুন্টার লোপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজে বরাদ্দ আসে ৩ কোটিরও বেশি টাকা। নানা অনিয়মের মাধ্যমে এ কাজটিও কোনোরকমে শেষ হয়। আবার অরূয়াইল ব্রিজ থেকে নতুন কালভার্ট পর্যন্ত ৫১৩ মিটার সড়কের কাজের জন্য ৩৫ লাখেরও বেশি টাকা বরাদ্দ আসে।  এ কাজেও ছিল অনিয়মের অভিযোগ। সড়কের ১২ কিলোমিটার জায়গা এখন ভালো। কিন্তু মাঝখানে ভূঁইশ্বর বাজার থেকে লোপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার সড়কে সংস্কার কাজ হয়নি। এ অংশের কয়েক জায়গা এখন পানির আঘাতে দ্রূত ভেঙে হাওরে চলে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সিএনজি চালক ও স্থানীয় লোকজন মাটি ফেলে জোড়াতালি দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হচ্ছে না। সড়কের ভাঙন এখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যেকোনো সময় এ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। ১১ কোটি টাকার কাজ হওয়ার পরও দুঃখ ঘোচেনি ভাটি এলাকার লক্ষাধিক মানুষের। সরাইল এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, আমরা এই জায়গাটুকুর কাজের জন্য ফ্ল্যাড প্রকল্পে অনেক আগেই আবেদন করে রেখেছি। অনুমোদন হচ্ছে না। এখন আবার জিওবি মেইনটেনেন্সে দিচ্ছি। অনুমোদন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status