× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে

বাংলারজমিন

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০২০, শনিবার

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জনপ্রনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৬ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। শুক্রবার সকালে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার) ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও। দুপুর থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকাল পয্যন্ত বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার) ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার সকাল পয্যন্ত তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুরের পর উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টি পাতের কারনে তা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং শুক্রবার ২৪.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বন্যার কারনে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পূর্বখড়িবাড়ীর দিঘিরপাড়, চরখড়িবাড়ী, পশ্চিম টাপুর চর, পাগলীর বাজার, একতার বাজার, বাংলাপাড়া, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্বখড়িবাড়ীর ১৫শ পরিবারের মধ্যে ১৬টি পরিবার পানি উন্নয়ন বের্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরশ্বর ও পূর্বছাতনাই এলাকার ৬টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ৪০টি পরিবার, ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকা ভেন্ডাবাড়ী ও সাতুনামা এলাকার ৯শ পরিবারের মধ্যে ৬০টি পরিবার বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে আশ্রয় নিয়েছে। খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর, ছোটখাতা এলাকার ৮শ পরিবার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের কিসামত ছাতনাই ও দোহলপাড়া মৌজার তিস্তার চর এলাকার ৪শ পরিবার এবং গয়াবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর গয়াবাড়ী গ্রামের ২২০ টি পরিবারসহ মোট ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ডালিয়া (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে শুক্রবার বিকেল পয্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে এবং আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী বেষ্টিত বেশকিছু এলাকার ঘরবাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকা সরজমিনে পরিদর্শনসহ সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সব সময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর