নোয়াখালীতে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া এক কিশোরীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করে নবজাতককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক লম্পটের বিরুদ্ধে। জানা যায়, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ১১নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে কিশোরী তাদের নিজ ঘরে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী পল্লী চিকিৎসক তেলিবাড়ীর আকব্বর বেপারীর ছেলে কায়ছার হামিদ (২২) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে আসছে। ফলে ধর্ষিতা কোহিনুর বেগম (১৫) এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি লম্পট কায়ছার হামিদ বুঝতে পেরে ধর্ষিতাকে সুকৌশলে চৌমুহনী কলেজের পশ্চিমপাশে অবস্থিত জনৈক জেসমিন আক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটায়। এ সময় অপরিপক্ক মৃত পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। গর্ভপাতের পর ওই কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ধর্ষক কায়ছার হামিদ মৃত্যুর মুখে রেখে সুকৌশলে গা ঢাকা দেয়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে, গত ৬ই জুলাই সালিশ বৈঠক হয়। এতে কিশোরীকে ধর্ষণ ও অবৈধভাবে গর্ভপাত করে শিশু হত্যার ঘটনাটি ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রফা-দফার চেষ্টা করা হয়।
সালিশদারদের এমন অনৈতিক সিদ্ধান্তকে অমান্য করে কায়ছার হামিদ পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ধর্ষিতার কহিনুর বেগমের মা পারুল বেগম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ৯ই জুলাই বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, ধর্ষক ও সালিশদারদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।