শুধু আইন করে খেলাধুলা থেকে বর্ণবাদ দূর করা সম্ভব নয়। সমাজ না পাল্টালে বর্ণবাদ নির্মূল হবে না বলে মনে করেন মাইকেল হোল্ডিং। আর বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজ পরিবারের ভোগান্তির স্মৃতিচারণ করে কেঁদে ফেললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তির ক্রিকেটার। সাউদাম্পটন টেস্টে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লোগো জার্সিতে লাগিয়ে খেলছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক মাইকেল হোল্ডিং স্কাই স্পোর্টসকে বলেন, শিক্ষার অভাব ও ছোটবেলা থেকে কারও মাথায় চামড়ার রঙের পার্থক্য ঢুকিয়ে দেয়াই বর্ণবাদের উৎস। স্কাই স্পোর্টসের প্রতিবেদক মার্ক সঙ্গে অস্টিনের বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের মা-বাবার প্রসঙ্গ টানেন ক্যারিবীয় পেস লিজেন্ড। আর এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন তিনি।
দুর্দান্ত গতির জন্য খ্যাতি কুড়োনো এ পেসার বলেন, ‘মা-বাবার কথা ভাবলে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়ি।’ এ কথা বলার পরই থেমে যান হোল্ডিং। অশ্রু সংবরণ করার চেষ্টা করে তিনি বলেন, ‘আমার মা-বাবা কিসের মধ্য দিয়ে গেছে, আমি তা জানি।
এটা (বর্ণবাদ) আবার ফিরে আসছে। আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলতো না তার পরিবার। কারণ তার স্বামী একটু বেশি কালো। তারা কিসের মধ্য দিয়ে গেছে আমি জানি।’
হোল্ডিং চোখ মোছার সময় মার্ক অস্টিন তাকে জিজ্ঞেস করেন, বর্ণবাদ থামানোর সময়টা এখনই কি না? হোল্ডিংয়ের জবাব, ‘এটা দীর্ঘ ও ধীর প্রক্রিয়া। কিন্তু শম্ভুকগতির হলেও আমি আশা রাখি। পথটা ঠিক রাখতে হবে।’
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পুলিশ হেফাজতে নিহত হলে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে গোটা বিশ্ব। ক্রিস গেইল, ড্যারেন স্যামির মতো শীর্ষ ক্যারিবীয় ক্রিকেটাররাও মুখ খুলেছেন এ নিয়ে। স্যামি অভিযোগ করেন. ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আইপিএলে খেলার সময় বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন তিনি।