× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইতালি ফেরত ১৪১ জন কোয়ারেন্টিনে, ৬ জন হাসপাতালে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১১ জুলাই ২০২০, শনিবার

ইতালির বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা ১৫১ বাংলাদেশির মধ্যে ৬ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চারজন শিশুকে বাড়িতে ও বাকি ১৪১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন আশোকোনা হজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ৬ জনের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে। তাদের শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিলনা। তাই তাদেরকে হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। ফেরত আসাদের মধ্যে চারজন শিশু ছিল। তাই ঝুঁকি না নিয়ে তাদের বাড়িতে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা ১৪১ জনের শরীরে এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোয়ারেন্টিন ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালিন সময়ে যদি কারো মধ্যে উপসর্গ দেখা যায় বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে সে অনুযায়ী চিকিৎসকরা ব্যবস্থা নেবেন।
শুক্রবার রাত ২টা ৩৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ইতালি থেকে ১৫১ বাংলাদেশিকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবি করছে, ফেরত আসাদের প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। পরে বিআরটিসির চারটি বাসে করে তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। যদিও শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তাদের শরীরের তাপমাত্রা ছাড়া আর বিশেষ কোনো পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়নি বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আয়েশা আক্তার মানবজমিনকে বলেন, ইতালি থেকে ফেরত আসাদের মধ্যে চারজন শিশু ছিল যাদেরকে বাসায় পাঠানো হয়েছে। আর ৬ জনের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ১৪১ জনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আশকোনা হজ ক্যাম্পের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আশকোনা হজ ক্যাম্পে সেনবাহিনীর সদস্যরা তাদের দেখাশোনা করছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোয়ারেন্টিন ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর যিনি আছেন তিনি তাদের স্বাস্থ্যর বিষয়টি দেখছেন। যদি তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তারা সেটি দেখবেন। অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা ভোর রাতে আসার পরই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আর যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা নাই হত তবে ৬ জনকে কিভাবে হাসপাতালে পাঠালাম? বাকিরা ভালো অবস্থানে আছেন বলেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ইতালি ফেরতদের কতদিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে এ বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণত ১৪ দিন থেকে ২১ দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাত দিনের ভেতরে  তাদের মধ্যে যদি কোনো উপসর্গ না দেখা দেয় এবং পরীক্ষা নীরিক্ষায় সেটি নিশ্চিত হওয়া যায় তবে নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে ইতালি থেকে ফেরত আসা ১৫১ বাংলাদেশিকে বাধ্যমূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। চিঠিতে বলা হয়েছিল, ইতালি ফেরত ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা এবং তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সম্প্রতি ১৫১ বাংলাদেশিকে নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটের যাত্রীদের ইতালি প্রবেশ করতে দেয়নি সে দেশের সরকার। তাদের পুনরায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গত ৭ই জুলাই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত থাকায় বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেয় ইতালি। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ওই ফ্লাইটি ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঠিক কোনো ব্যাখা মিলছে না। যদিও কেউ কেউ বলছেন, ইতালির নিষেধাজ্ঞা আসার আগেই ফ্লাইটটি ছেড়ে গিয়েছিলো। ধারনা করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই ফ্লাইটি ইতালি গিয়ে পৌঁছাবে। কিন্তু নির্ধারিত টাইম লিমিটের অনেক পরে সেটি ইতালি গিয়ে পৌঁছায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর