× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বছর শেষে টিকা আনতে চায় ফাইজার

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জুলাই ১১, ২০২০, শনিবার, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

বছরের শেষ নাগাদ করোনা ভাইরাসের টিকার অনুমোদন চাইতে পারে ফাইজার ইনকরপোরেশন ও তার জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক এসই। বর্তমানে তাদের এই টিকার পরীক্ষা চলছে ৩০ হাজার মানুষের ওপর। এসই-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ইউগুর সাহিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, অনুমোদন পাওয়ার আগেই তারা কয়েক কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করবেন বলে আশা করছেন। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ তারা শত কোটি ডোজের বেশি এই টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। প্রাথমিকভাবে তারা ৪৫ জন মানুষের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করেছেন। এতে চমৎকার ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ফাইজার ও বায়োএনটেক। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে যেসব স্বেচ্ছাসেবককে নি¤œ অথবা মধ্যম মাত্রার ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছিল তারা প্রত্যাশিত রোগ প্রতিরোধে সাড়া দিয়েছেন।
ফলে এখন ৩০ হাজার স্বাস্থ্যবান মানুষের ওপর ব্যাপক মাত্রায় এই টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। ড. সাহিন বলেছেন, একটি নতুন টিকা তৈরিতে বিশ্ব কখনো এত দ্রুত উন্নতি দেখেনি। একই সঙ্গে এত দ্রুত বিশ্বে কোনো মহামারিরও বিস্তার ঘটেনি কখনো।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি টিকায় ব্যবহার করা হয়েছে করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোড, যাতে শরীর এন্টিবডি তৈরি করতে পারে, শনাক্ত করতে পারে করোনা ভাইরাসকে এবং কেউ আক্রান্ত হলে তখন এই ভাইরাসকে তা আক্রমণ করতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, এই ধরনের টিকা হতে পারে দামে সস্তা এবং উৎপাদন সহজ হতে পারে। বায়োএনটেক বলেছে, এই টিকার একটি ব্যাচ তৈরিতে ৯ থেকে ১১ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। যদিও এ কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের ফলে দ্রুত টিকা উৎপাদন করতে চায়, তবু এরই মধ্যে সারাবিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। ড. সাহিন বিশ্বাস করেন, কোভিড-১৯ কে পরাজিত করতে সময় লাগতে পারে কমপক্ষে ১০ বছর। তিনি বলেন, আমরা তখনই মনে করবো আমরা সফল হতে পেরেছি, যখন দেখবো বিশ্বজুড়ে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি মানুষের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে। গবেষণায় ১২ জনের তিনটি গ্রুপকে ১০ মাইক্রোগ্রাম, ৩০ মাইক্রোগ্রাম অথবা ১০০ মাইক্রোগ্রাম ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে।সর্বোচ্চ মাত্রায় প্রয়োগ করা টিকার ফলে ওই গ্রুপের অর্ধেক মানুষের জ্বর হয়েছে। দ্বিতীয় মাত্রার গ্রুপেরও একই অবস্থা। এর তিন সপ্তাহ পরে স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বিতীয় মাত্রার টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে ১০ মাইক্রোগ্রাম ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে এমন গ্রুপের শতকরা ৮.৩ ভাগের জ্বর এসেছে। ৩০ মাইক্রোগ্রাম প্রয়োগ করা গ্রুপের শতকরা ৭৫ ভাগের জ্বর এসেছে। তবে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় নি। জীবননাশকারীও ছিল না। একদিন পরেই তারা সুস্থ হয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর