ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে হারানো তো দূরে থাক গত ২৫ ম্যাচে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েও ফিরতে পারেনি কোনো দল। কঠিন সেই কাজটিই করে দেখাল বার্নলি। আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা লিভারপুলকে শনিবার (১১ই জুলাই) ঘরের মাঠে ১-১ গোলে আটকে দিয়েছে তারা। চলমান মৌসুমে ১৭ আর গত মৌসুম মিলিয়ে টানা ২৫ ম্যাচ জেতার পর অ্যানফিল্ডে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হলো না অল রেডদের। তবে জয় না পেলেও অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা অক্ষুন্ন রেখেছে অলরেডরা। অ্যানফিল্ডে এই নিয়ে লীগে টানা ৫৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো তারা। বার্নলির কাছে পয়েন্ট হারানোর আগে শেষবার লিভারপুল হোঁচট খেয়েছিল ২০১৯ সালের ৩১শে জানুয়ারি। সে ম্যাচেও লেস্টার সিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল লিভারপুল।
এই ড্রয়ে ম্যানচেস্টার সিটির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে লীগে ১০০ পয়েন্ট অর্জনের পথটা কঠিন হয়ে গেল লিভারপুলের। ৩৫ ম্যাচে ৩০ জয় ও ৩ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৯৩। সিটিজেনদের ছুঁতে শেষ ৩ ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট পেতে হবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের। লিভারপুলের পরের তিন ম্যাচের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল, চেলসি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেড।
২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রথম দল হিসেবে ১০০ পয়েন্টের মাইলফলক ছুঁয়েছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।
৩৪তম মিনিটে ফ্যাবিনহোর ক্রসে অসাধারণ হেডে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রু রবার্টসন। আসরে ৭৯০ দিন পর অ্যানফিল্ডে গোলের দেখা পেলেন ২৬ বছর বয়সী এই স্কটিশ লেফটব্যাক। ৬৯তম মিনিটে বার্নলিকে সমতায় ফেরান জে রদ্রিগেস।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে অন্তত ১০বার মুখোমুখি হয়েছে এমন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লিভারপুল সবচেয়ে বেশি জিতেছে বার্নলির বিপক্ষেই। এই ম্যাচের আগে ১১ দেখায় ৯ বারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে অলরেডরা। এই পরিসংখ্যানই কি তাহলে বার্নলিকে হালকাভাবে নেয়ার কারণ লিভারপুলের? যার খেসারত দিতে হল পয়েন্ট খুইয়ে। মাঠের পারফরমেন্স বলছে ভিন্ন কথা। বার্নলির গোলমুখে ২৩ শট নিয়েছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। লীগে এতবেশি শট নিয়েও জিততে না পারার এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার দেখল লিভারপুল। এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এভারটনের বিপক্ষে ২৩ শট নিয়েও জিততে পারেনি তারা।