দাউদকান্দিতে গোমতী নদীতে শুক্রবার রাত সোয়া তিনটায় নৌকা ডুবে ২জনের মৃত্যুর ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানায় ৮জনকে আসামী করে পুলিশ নিজে একটি মামলা দায়ের করেছেন! মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলাস্থ পৌরসদরের সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবু খন্দকারকে। এ ঘটনায় এজাহারভূক্ত ৫জনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। শনিবার রাতে দাউদকান্দি মডেল থানার উপ- পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে পেনাল কোড আইনের ৩০৪-ক ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা নং-৭। মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা হলো-১। বাবু খন্দকার (৩৫),২।ইমদাদ (৩৮), ৩।তানিম ওরফে শুভ (২৮), ৪।আবু রায়হান মুন্না (২৬), ৫।আশিক (২৫), ৬।রমজান (২৮), ৭।রুহুল আমিন (৫০), ৮।নৌকার মাঝি ফজলুর রহমার ফজলু (৬০)। এর মধ্যে রমজান, রুহুল আমিন ও নৌকার মাঝি ফজলুর রহমার ফজলু পলাতক। মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১০জুলাই রাতে ঢাকা থেকে সাত জন মামলার প্রধান আসামীর নিকট আসে। পুরাতন ফেরিঘাটস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বালুর গদিতে রাতের খাবার খাওয়ার পর রাত সোয়া ৩টার দিকে ছোট একটি কোষা নৌকায় মাঝিসহ ১০জন উঠে। ধারণা করা হচ্ছে তারা নেশাগ্রস্ত ছিলো নতুবা নেশা করার জন্য উম্মাদ হয়ে নদীতে চরে ১নং আসামী বাবু খন্দকারের মাছের প্রজেক্টে নেশা করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নৌকাটি নদীর মাঝখানে পৌঁছিলে নদীতে চলাচলকারী নৌ-যানের ঢেউয়ের ধাক্কায় আরোহীসহ কোষা নৌকাটি ডুবে যায়।৮জন সাঁতার কেটে নদীর তীরে আসলেও তানভীর হোসেন অনিক ও সজীব দুই জন নিখোঁজ হয়ে যায়।পরে গত শনিবার সকালে ব্র্যাক কোল্ড ষ্টোরের পশ্চিমে গোমতী নদীতে লাশ ভেসে উঠে। আসামীদের অবহেলায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে নৌকায় যাত্রী বেশী উঠার ফলে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। যাহার ফলে অনিক ও সজীব দ্বয়ের পানিতে ডুবে মৃত্যু ঘটে। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমদের পক্ষ থেকে বাদী হয়ে মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। বাকী আসামীদের প্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।