× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারী পাচার ও যৌনচক্র /দুবাই থেকে পালিয়ে এসে গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের আজম খান

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(৩ বছর আগে) জুলাই ১২, ২০২০, রবিবার, ৭:২২ পূর্বাহ্ন

নারী পাচার চক্রের গডফাদার চট্টগ্রামের আজম খান। বাড়ী ফটিকছড়ি উপজেলায়। দীর্ঘ এক দশকেও বেশি সময় ধরে এক হাজারেরও বেশি নারীকে কাজ দেওয়ার নামে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নিয়ে গিয়ে ডান্সবার ও যৌনকর্মে বাধ্য করেছেন আজম খান।
এরমধ্যে দুবাই পুলিশের তাড়া খেয়ে দেশে ফিরে এসে আত্নগোপনে থাকেন আজম খান। আর দুবাই পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নারী পাচারকারী আজম খানসহ দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
রোববার ঢাকায় সিআইডির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্গানাইজড ক্রাইমের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ এ তথ্য জানান। তবে কখন ও কোন জায়গা থেকে আজম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে তথ্য জানায়নি সিআইডি।
তিনি জানান, দুবাইয়ে চার তারকাযুক্ত তিনটি ও তিন তারকাবিশিষ্ট একটি হোটেলের মালিক অভিযুক্ত আজম খান। তার মালিকানাধীন হোটেলগুলো হলো ফরচুন পার্ল হোটেল অ্যান্ড ড্যান্স ক্লাব, হোটেল রয়েল ফরচুন, হোটেল ফরচুন র্গ্যান্ড ও হোটেল সিটি টাওয়ার।
ডিআইজি ইমতিয়াজ বলেন, নারীপাচার ও যৌনচক্রে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি দুবাই পুলিশ আজম খান স¤পর্কে আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবহিত করে।
আরব আমিরাত আজম খানের পাসপোর্টও বাতিল করে। এরপরই দুবাইতে বাংলাদেশ দূতাবাস পাসপোর্ট রেখে আজম খানকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এক্সিট পাস নিয়ে বাংলাদেশে এসেই তিনি আত্নগোপনে চলে যান।
এমন একজন অপরাধী দেশে ফিরে কী করে পালিয়ে যেতে পারলেন এমন প্রশ্নে ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একজন আসামিকে পাঠানো হচ্ছে সেটা পুলিশকে আগে জানানো হয়নি। এই সুযোগে আজম খান নতুন পাসপোর্ট করে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন।
কিছুটা দেরিতে হলেও সিআইডি আজম খানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুই সহযোগী হলেন আল আমিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ড ও আনোয়ার হোসেন ওরফে ময়না। গত ২ জুলাই এই ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেছে। পাচারের শিকার নারীরা ইতিমধ্যে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
সিআইডির তথ্যমতে, আজম খান সারাদেশ থেকে দালালের মাধ্যমে নারীদের সংগ্রহ করতেন। হোটেলে কাজ দেওয়ার কথা বলে জোর করে ডান্সবার ও যৌনকর্মে বাধ্য করা হতো ওই নারীদের। একেকজনকে ৫০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়ার কথা বলে নারীদের দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। একাধিক ট্রাভেল এজেন্সি ও বিদেশি কিছু বিমান সংস্থা এই কাজে আজম খানকে সহযোগিতা দিতো। অভিযুক্ত ট্রাভেল এজেন্সি, বিদেশি এয়ারলাইন্স ও গ্রেপ্তারের তথ্য পরে জানানো হবে।
আজম খানের বিরুদ্ধে দেশেও ছয়টি হত্যা মামলাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। তার নারীপাচার ও যৌন নেটওয়ার্কে তিনি ছাড়াও দুবাইয়ে তার আরও দুই ভাই জড়িত। ভারত ও পাকিস্তানভিত্তিক কয়েকটি দল আজম খানের সঙ্গে যুক্ত আছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর