× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অঁরির ১৭ আর জাভির ১০ বছরের রেকর্ড ছুঁলেন মেসি

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার

এর আগে একের পর এক ভেঙেছেন গোলের রেকর্ড। লিওনেল মেসি এখন ছুটছেন অ্যাসিস্ট বা গোল করানোর রেকর্ড নিজের করে নিতে। জুনে লীগ ফেরার পর থেকে ৭ ম্যাচে গোল মাত্র ৩ বার পেলেও, অ্যাসিস্টের কাজটা নিয়মিতই করে যাচ্ছেন মেসি। শনিবার রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে বার্সেলোনার ১-০ গোলে জয়ের ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন আর্তুরো ভিদাল। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে ভেতরে থাকা ভিদালের উদ্দেশ্যে বুদ্ধিদীপ্ত এক পাস দিয়েছিলেন মেসি। তাতে মৌসুমের ২০তম অ্যাসিস্ট পেয়ে গেলেন তিনি। তাতেই ছুঁয়েছেন ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি ও স্পেনের কিংবদন্তি মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজের রেকর্ড।

২০তম অ্যাসিস্টের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ড স্পর্শ করলেন লিওনেল মেসি। ২০০৮-০৯ মৌসুমে ২০ অ্যাসিস্ট করেছিলেন মেসিরই সাবেক সতীর্থ ও স্প্যানিয়ার্ড কিংবদন্তি মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ।
চলমান মৌসুমে লা লিগায় ৩১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২২ গোলও মেসির। একবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপের শীর্ষ ৫ লীগে এক মৌসুমে অন্তত ২০ গোল আর ২০ অ্যাসিস্টের রেকর্ড আছে আর একটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে ২০০২-০৩ মৌসুমে থিয়েরি অঁরি আর্সেনালের হয়ে গড়েছিলেন এই রেকর্ড। এক সময়ের ক্লাব সতীর্থের দারুণ এই কীর্তি ছোঁয়ার পর এখন তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় মেসি।

২০০৫-০৬ মৌসুমে লা লিগায় অভিষেকের পর মেসির অ্যাসিস্ট সংখ্যা ১৮২। এর আগে ২০১০-১১ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৮টি করে অ্যাসিস্ট করেছিলেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লা লিগায় সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন লেভান্তের বিপক্ষে (১৫টি)। বাইরের মতো মাঠের ভিতরেও উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে দারুণ ‘মিতালি’ লিওনেল মেসির। লা লিগায় মেসির পাস থেকে সবচেয়ে বেশিবার জালে বল জড়িয়েছেন সুয়ারেজ (৩২বার)।

পা চলছে না, তবুও বিশ্রাম নেই
করোনোভাইরাসের কারণে ইউরোপিয়ান ফুটবল থেকে হারিয়ে গেছে প্রায় তিন মাস। সেটা পুষিয়ে নিতে ঠাসা সূচিতে চলছে খেলা। ফুটবলারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতি ম্যাচে পাঁচ বদলির নিয়ম চালু করেছে ফিফা। সেটা খুব একটা কাজে লাগছে না লিওনেল মেসির। এই মৌসুমে বার্সেলোনা একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে প্রত্যেক মিনিট খেলেছেন, সংখ্যার হিসাবে যা ৮১০ মিনিট। শনিবার রাতে ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতে লা লিগার শিরোপা দৌড়ে এখনো টিকে রয়েছে কাতালানরা। পঞ্চদশ মিনিটে আর্তুরো ভিদালের করা জয়সূচক গোলটা আসে লিওনেল মেসির পাস থেকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অনুজ্জ্বল দেখায় মেসিকে। বয়স ৩৩ পেরিয়ে এভাবে টানা খেলার ধকল যে মেসি নিতে পারছেন না, সেটা স্বীকার করলেন বার্সা কোচ কিকে সেতিয়েনও, ‘মেসির বিশ্রামটা প্রয়োজন সেটা আমি জানি। প্রথমার্ধে আমরা আর এক গোল পেয়ে গেলে সেটা হয়তো দিতে পারতাম। সেটা না হওয়ায় ওর সঙ্গে আলাপ করেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। লিডটা বেশি হলে মেসির সঙ্গে আরও কয়েকজনকে বিশ্রাম দিতে পারতাম আমরা।’ বার্সেলোনার ‘মেসি নির্ভরতায়’ ক্ষতি হচ্ছে উভয়পক্ষেরই। একের পর এক পয়েন্ট খুইয়ে শিরোপা হারানোর শঙ্কায় তাই বিরাম নেই মেসির।

এস্পানিওলের বিপক্ষে খেলার পর ৭২ ঘণ্টা না পেরোতেই ভায়াদোলিদের মাঠে নেমে পড়তে হয় মেসিদের। মাঠের পারফরমেন্সেও ক্লান্তির ছাপটা বোঝা গেছে। সেতিয়েন ম্যাচ শেষে স্বীকারও করলেন, ‘আমাদের আসলে পা চলছিল না। বিশেষত দ্বিতীয়ার্ধে। চাপটা একটু বেশিই যাচ্ছে আমাদের। মাঠে অনেক গরম ছিল, সবাই আসলে ঠিক চাঙ্গা ছিল না।’

কষ্টার্জিত জয়ের পরও বার্সেলোনার শিরোপা স্বপ্ন টিকে রয়েছে কাগজে-কলমে। ৩৬ ম্যাচে ২৪ জয় ও সাত ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৭৯। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের সংগ্রহ ৮০ পয়েন্ট। শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতলেই ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর লা লিগার ৩৪তম শিরোপা ঘরে তুলবে রিয়াল মাদ্রিদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর