× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তরুণীদের প্রলোভন দিয়ে নেয়া হতো দুবাইয়ের ড্যান্স বারে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার

টার্গেট করা হতো সুন্দরী তরুণীদের। নানা প্রলোভন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতো বিদেশে। সেখানে নিয়েই ঘরবন্দি। যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হতো। কোনো ধরনের আপত্তি জানালেই চালানো হতো নির্যাতন। এভাবে দেশ থেকে সহস্রাধিক নারীকে বিদেশে নিয়ে নির্যাতন করেছে আজম খান নামে এক ব্যক্তি। দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত এই ব্যক্তি সেখানে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। এসব হোটেলে রয়েছে ড্যান্সবার।
ড্যান্সবারে নাচতে বাধ্য করা হতো দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া তরুণীদের। এমনকি হোটেলে পতিতাবৃত্তি করানো হতো তরুণীদের দিয়ে। বিদেশে কাজ দেয়ার নামে নির্যাতনকারী এই আজম খানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার অন্যরা হচ্ছে, আল আমিন হোসেন ডায়মন্ড ও আনোয়ার হোসেন ময়না।

গ্রেপ্তারের পর গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি’র সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আজম খান একজন গডফাদার। সারা দেশ থেকে দালালের মাধ্যমে নারীদের সংগ্রহ করে বিদেশে নিয়ে যেতো। ন্যূনতম তাদের অর্ধলাখ টাকা বেতনের প্রলোভন দিতো আজম খান। এভাবেই দুবাইয়ে তাদের হোটেলে কাজ দেয়ার কথা বলে যৌনকর্মে এবং ড্যান্স করতে বাধ্য করতো। সহজে রাজি না হলে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। এটি একটি চক্র। এই চক্রে আজম খান ও তার দুই ভাইসহ এই দলে ভারত ও পাকিস্তানের অনেকে যুক্ত রয়েছে। এ ছাড়াও অপকর্মে আজম খানকে সহযোগিতা করতো একাধিক ট্র্যাভেল এজেন্সি ও বিদেশি কিছু বিমান সংস্থা।

সিআইডি’র সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দেশে ছয়টি হত্যা মামলাসহ এই আজম খানের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। দুবাইতে চার তারকাযুক্ত তিনটি ও তিন তারকাবিশিষ্ট একটি হোটেলের মালিক এই আজম খান। আজম খানের মালিকানাধীন হোটেলগুলো হলো ফরচুন পার্ল হোটেল অ্যান্ড ড্যান্স ক্লাব, হোটেল রয়েল ফরচুন, হোটেল ফরচুন গ্র্যান্ড ও হোটেল সিটি টাওয়ার। নানা অপকর্মের কারণে সমপ্রতি দুবাই পুলিশ আজম খানের ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অবগত করে। দেশটি তার পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়। পরে একটি এক্সিট পাস নিয়ে আজম খান বাংলাদেশে ফিরে আসে। দেশে ফিরেই আত্মগোপনে ছিল সে।

সিআইডি জানায়, দেশে ফেরার পর নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে আবারো দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করে আজম খান। এরমধ্যেই তথ্য পায় সিআইডি। নির্যাতনের শিকার নারীদের বক্তব্য অনুসারে ২রা জুলাই সিআইডি বাদী হয়ে লালবাগ থানায় আজম খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। তারপরই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আজম খানের বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর