× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মনোহরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ

বাংলারজমিন

মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৩ জুলাই ২০২০, সোমবার

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে জনৈক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার মনোহরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা। অভিযুক্ত ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিপুলাসার আহাম্মদ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বপ্না (ছদ্মনাম) নামের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো একই ইউনিয়নের বড়কাঁছি গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে নুর মোহাম্মদ বাবলু। এক পর্যায়ে স্বপ্নার সাথে সে প্রেমের অভিনয় শুরু করে। এর কিছুদিন পর সে ইতালি পাড়ি জমায়। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বপ্নার সাথে নিয়মিত কথা বলতো। করোনা ভাইরাসের কারণে গত কয়েকমাস আগে বাবলু দেশে আসে।
গত ৩ জুলাই বিকেলে দেখা করার কথা বলে স্বপ্নাকে বাড়ি থেকে বের করে আনে বাবলু। পরে সে তার সহযোগী নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের কৈইয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ইমাম হোসেন ইমনের সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে অপহরণ করে সোনাইমুড়ী সিটি সেন্টার মার্কেট সংলগ্ন ইমনের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরীকে সেখানে ২ দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে বাবলু। গত ৫ জুলাই সকালে সে ওই কিশোরীকে সেনবাগ থানাধীন নাজিরহাট গ্রামে তার নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। অপহরণের দুইদিন পর নানার বাড়িতে স্বপ্নার উপস্থিতির খবর শুনে তাৎক্ষণিক তার অভিভাবকরা ছুটে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। স্বপ্নার কাছ থেকে তারা অপহরণ ও ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে। সোমবার ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে অভিযুক্ত বাবলুর সহযোগী ইমনকে গ্রেপ্তার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুল কবির। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বাবলু বিবাহিত। এ ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরীর পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদেরকে প্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর